তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম এমআইটি টেকনোলোজি
রিভিউ গত ২৯ জুন বিশ্বের ৫০টি সেরা স্মার্ট কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় স্থান পেয়েছে
হুয়াওয়ে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছরই এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে স্থান পায়
এমন সব কোম্পানি যাদের বিশ্বব্যাপী একটি কার্যকর ব্যবসায়িক মডেলের পাশাপাশি রয়েছে সেরা সম্মিলিত
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি।
একটি কোম্পানির বিগত বছরের কার্যক্রম, তাদের ব্যবহৃত পদ্ধতি এবং তাদের অর্জনকে বিবেচনায় নিয়ে
সেরা ৫০টি স্মার্ট কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করে এমআইটি টেকনোলোজি রিভিউ। এছাড়াও তারা উদীয়মান
প্রযুক্তিতে কোম্পানির ভূমিকা ও সাফল্য এবং নিজেদের শিল্পে এমনকি বিশ্বের জন্য তারা কী কী অর্জন
করেছে সেগুলো বিবেচনা করে। আর এ বছরের সেই তালিকায় উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য
নিজের জায়গা করে নিয়েছে হুয়াওয়ে।
উইলিয়াম ঝু, হুয়াওয়ে বোর্ডের পরিচালক এবং স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর সভাপতি, ৫০টি স্মার্ট
কোম্পানি ২০১৯ এর চীন সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, গত ৩০ বছর ধরে হুয়াওয়ে প্রাধান্য
দিয়েছে প্রযুক্তিগত ও প্রকৌশলগত উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে। এছাড়াও আমরা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে
সমাধান প্রদানে কাজ করেছি। আমরা এটিকে বলছি ইনোভেশন ১.০ এবং ভবিষ্যতে আমরা ইনোভেশন ২.০ এর
পথ অনুসরণ করব। ইনোভেশন ২.০ বলতে আমরা বুঝাচ্ছি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে গুরুত্ব পাবে তাত্ত্বিক
সাফল্য এবং এমন সব উদ্ভাবন যার মধ্যে প্রতিফলিত হবে আমাদের স্বপ্ন।”
এ বছরই প্রথম এমআইটি টেকনোলোজি রিভিউ চীনে এই সম্মেলনের আয়োজন করে এবং এই বছরের সেরা
৫০টি স্মার্ট কোম্পানির তালিকায় রয়েছে চীনা কোম্পানি এবং কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি যারা চীনে তাদের
কার্যক্রম পরিচালনা করে।
হুয়াওয়ে সম্পর্কে
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আরও সংযুক্ত এবং
বুদ্ধিদীপ্ত পৃথিবী গড়ে তোলার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।
নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা
গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান
করে। হুয়াওয়ের সম্পূর্ণ মালিকানা এর এক লক্ষ ৮০ হাজার কর্মীর যারা বিশ্বজুড়ে টেলিকম সেবা
দানকারী প্রতিষ্ঠান, এন্টারপ্রাইজ এবং গ্রাহকদের সর্বচ্চ সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ের আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের
চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরএন্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার
ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র
ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ
স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে
১৮ মাস এগিয়ে।