চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল ৫জি স্মার্টফোনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ভিভো’র ৫জি স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে ৬২ শতাংশ; সরবরাহের পরিমাণ ছিল ১৯ মিলিয়ন ইউনিট। ৫জি উন্নয়নে একনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ভিভো তাদের ৫জি এর মান ও মূল প্রযুক্তিতে দারুণ উন্নতি করেছে।
স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিকসের পরিচালক মি. কেন হায়ার্স বলেন, ‘২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে এর আগের প্রান্তিকের তুলনায় বিশ্বে ৫জি স্মার্টফোনের সরবরাহ বেড়েছে ৬ শতাংশ, সরবরাহের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ১৩৬ মিলিয়ন ইউনিট। আমাদের ধারণা চলতি বছর শেষে বিশ্বে ৫জি স্মার্টফোনের সরবরাহ রেকর্ড ৬২৪ মিলিয়ন হবে, যা ২০২০ সালে ছিল ২৬৯ মিলিয়ন।
স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিকসের সহযোগী পরিচালক ভিলে-পেত্তেরি ইউকোনাহ বলেন, ‘ভিভো নিজেদের আইকিউওও ইউ-৩ ৫জি এবং ইউ-৭ ৫জি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল ৫জি স্মার্টফোনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে এবং তাদের প্রান্তিক থেকে প্রান্তিকে বিক্রি বেড়েছে ৬২ শতাংশ, সরবরাহ ছিল ১৯ মিলিয়ন ইউনিট।’
৫জি মোবাইল ফোনের ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকায় ভিভো তাদের ৫জি মোবাইলের উন্নতি ও সাফল্যের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছে। দ্রুত বাড়তে থাকা ৫জি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের উন্নত ৫জি এর অভিজ্ঞতা দেওয়ার ব্যাপারে ভিভো দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুদূরপ্রসারী কৌশল হিসেবে ভিভো গবেষণা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করেছে। আইকিউওও প্রো ৫জি, নেক্স-৩ ৫জি এবং এক্স৩০ সিরিজসহ ৫জি মোবাইল ফোনের ভবিষ্যত ভার্সনগুলো নিয়ে কাজ করে ভিভো জনপ্রিয়তা পেয়ে ৫জি মোবাইল মার্কেটের শীর্ষে সুনামের সাথে অবস্থান নিয়েছে।
ভিভো প্রসঙ্গে :
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা ডিজাইন-ড্রাইভেন ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই এবং উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেইজিং, হাংঝোউ, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ৫জি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভো’র পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ আছে। এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভো’র এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে ।