সঠিক মূল্যে কম্পিউটার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং ওয়ারেন্টি নীতিমালা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস) এর ২৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৮ সালের কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী পেশ করার পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকারের সভাপতিত্বে সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. শাহিদ-উল-মুনীর, মোস্তাফিজুর রহমান তুহীন এবং আছাব উল্লাহ্ খান জুয়েলসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচ্যসূচি অনুসারে ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভায় উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি। কন্ঠভোটে কার্যবিবরণী অনুমোদন করেন উপস্থিত সদস্যরা। সভাপতির সস্মতিক্রমে মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন ২০১৮ সালের কর্মকান্ডের বিবরণী এবং কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন। ২০১৮ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেটের উপর সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও মতামতের আলোকে ২০১৮ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেট অনুমোদিত হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি বিসিএস এর ৮টি শাখায় নিজস্ব কার্যালয় করা হয়েছে। কম্পিউটার ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই বছর এমআরপি এবং ওয়ারেন্টি পলিসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো দুইটি শাখা বৃদ্ধি করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে বিসিএস এর সম্পৃক্ততা বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশে আইসিটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ আইসিটি সংগঠনে প্রথমবারের মতো আমরা প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছি। বিসিএস সদস্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল, হোটেল, ফুড এবং রাইড শেয়ারিং এ ছাড় দেয়ার জন্য আমরা কর্পোরেট চুক্তি করেছি। এ সেবার ক্ষেত্র সারাদেশে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সদস্যদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে চট্টগ্রাম বিসিএস শাখা।
প্রসঙ্গত, বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে বিসিএস এর একটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজী নববর্ষ ২০১৯ সালের শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।