ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রগ্রামী ভূমিকা রেখে সমিতির কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস) এর ২৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় সরণির থাই চি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কেফে’তে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৯ সালের কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী পেশ করার পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান তুহীন এবং আছাব উল্লাহ্ খান জুয়েলসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচ্যসূচি অনুসারে ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভায় উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি। কন্ঠভোটে কার্যবিবরণী অনুমোদন করেন উপস্থিত সদস্যরা। সভাপতির সস্মতিক্রমে মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন ২০১৯ সালের কর্মকান্ডের বিবরণী এবং কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন। ২০১৯ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেটের উপর সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও মতামতের আলোকে ২০১৯ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেট অনুমোদিত হয়।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, বিসিএস তথ্যপ্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেয়া দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন। ইতোমধ্যে আমরা সরকারের সঙ্গে একযোগে সফল ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ সম্পন্ন করেছি। তবে আমরা শুধু রাজধানীতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে দায়িত্ব শেষ করিনি। বিসিএস এর উদ্যোগে ২০২০ সালে আমরা বিসিএস এর সব শাখায় এই প্রদর্শনীর কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। শহর বা গ্রাম সবখানেই তরুণরা যেন তথ্যপ্রযুক্তির সুফল ভোগ করতে পারে তার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বিসিএস এখন ২৩০০ সদস্যের অধিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের এক বিশাল পরিবার। এই পরিবারকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে আমরা বিভিন্ন হাসপাতাল, হোটেল, ফুড এবং রাইড শেয়ারিং এ ছাড় দেয়ার জন্য আমরা কর্পোরেট চুক্তি করেছি। সদস্যরা এখনি এই প্রিভিলেজ কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। সকল সদস্যদের হাতে এই প্রিভিলেজ কার্ড পৌঁছে দেয়া হবে। এটি আমাদের চলমান কার্যক্রম। আমরা সদস্যদের কল্যাণ তহবিলকেও বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
ইংরেজী নববর্ষ ২০২০ সালের শুভেচ্ছা জানিয়ে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।