ভোটারের ক্ষমতা ভোট দেওয়ার সময়। যতই চাপ আসুক, যতই ক্ষমতাসীনেরা বিপক্ষে থাক সাধারণ ভোটার সুযোগ পেলেই ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের নেতা বাছাই করবেই। এটাই দেখা গেল এবারের বিসিএস নির্বাচনে। ব্যাপক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার(৫৪০)। তিনি বলেন, ভোটাররা যার পক্ষে থাকবে তিনিই নির্বাচিত হবেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটারদের চেয়ে ক্ষমতাবান কেউ নাই। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ২০১৮-২০ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী এবং শাখা কমিটিসমূহের নির্বাচন বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত পরিচালকরা হলেন ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার(৫৪০), মোশারফ হোসেন সুমন (৫০২), মো. শাহিদ-উল-মুনীর(৪৯৪), ইউসুফ আলী শামীম(৪৬৮),মো.জাবেদুর রহমান শাহীন(৪০৮), মো. আসুব উল্লাহ খান জুয়েল(৪৩৫) এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমান(৪০৮)।
এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে মো. মঞ্জুরুল হাসান(৩৭২), মজিবুর রহমান স্বপন (৩৫৬), কামরুজ্জামান ভূঁইয়া(৩৪৭), নাজমুল আলম ভূঁইয়া (জুয়েল)(২৯১), মো. মাজহারুল ইমাম(২৫৩), কাজী একরামুল গণি(১৭৯), মো. মিজানুর রহমান(১৬১), মো. আকতারুজ্জামান (টিটু)(১৩৮) এবং অজয় কৃষ্ণ সাহা(১২৪)।
শনিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫.১৫ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এবার সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে মোট ৭৯১ টি ভোট গৃহীত হয়েছে। যা মোট ভোটার সংখ্যার ৮৪.৩৩ শতাংশ। মোট ভোটার ছিল ৯৩৮ জন। এছাড়া ৮টি শাখা কমিটির মধ্যে ৭টি শাখা কমিটিতে ৭ জন করে প্রার্থী থাকায় ৭ সদস্যবিশিষ্ট শাখা কমিটিতে তারা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শাখা কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র খুলনা শাখার জন্য ভোটগ্রহণ হয়। খুলনা শাখার ভোটার সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রথমে এই শাখার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীরা হলেন- মুন্সি আরিফুজ্জামান(১৫), মো.নাজমুল আহসান(১৫), মো. আজিজ হোসেইন (সুমন) (১৫), শেখ শাহিনুর আলম সিদ্দিক(১৫), এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমান (রিহেন) (১৪), মো. নুরুল ইসলাম(১৪) এবং মো. জিয়াউর রহমান(১৪)।অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আহমেদ কবির (৪) এবং এস. এম মনিরুল ইসলাম(৪) ভোট পেয়েছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক পদে জয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বদেশ রঞ্জন সাহা।
এবার কার্যনির্বাহী কমিটির ৭টি পদের জন্য দুইটি প্যানেল এবং দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ‘সমমনা ৭’ নামে একটি প্যানেলে ছিলেন সি অ্যান্ড সি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, কম্পিউটার পয়েন্ট এর স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী শামীম, ইলেক্ট্রোসনিক এর স্বত্বাধিকারী মো. মাজহারুল ইমাম, ইপসিলন সিস্টেমস অ্যান্ড সল্যিউশন লি. এর চেয়ারম্যান মো. শাহিদ-উল-মুনীর, অরিয়েন্ট কম্পিউটার্স এর স্বত্বাধিকারী মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, স্পীড টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুমন এবং টেকনো প্লানেট সিস্টেমস এর স্বত্বাধিকারী মো. মঞ্জুরুল হাসান। হাইটেক প্রফেশনালস এর স্বত্বাধিকারী মজিবুর রহমান স্বপনের নেতৃত্বে অন্য আরেকটি প্যানেলের সদস্যরা হলেন সাইবার কমিউনিকেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম ভূঁইয়া (জুয়েল), কম্পিউটার সোর্স মেশিনস লি. এর পরিচালক মো. আসুব উল্লাহ খান জুয়েল, সাউথ বাংলা কম্পিউটার এর স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, সফটজোন ইন্ক. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, টেক হিল এর স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং টেক রিপাবলিক লি. এর পরিচালক কাজী একরামুল গণি। প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ নির্বাচিত সাতজন পরিচালকদের মধ্যে পদবন্টন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বোর্ডের আরও দুই সদস্য হলেন দি কম্পিউটার লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিক-ই-রব্বানী এবং মাসনুন লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম । নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন সিপ্রোকো কম্পিউটার লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফকাত হায়দার। লীডস কর্পোরেশন লি. এর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আজিজ এবং কম্পিউটার ডিভাইস অ্যান্ড টেকনোলজির স্বত্ত্বাধিকারী এ.কে.এম শামসুল হুদা আপীল বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনের ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকলে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আপিল বোর্ডের কাছে অভিযোগ করা যাবে।
বিসিএস নির্বাচনে কিভাবে জিতলেন সুব্রত সরকার?
previous post