বাংলাদেশ থেকে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল টাই ইনফ্লিক্ট ২০১৮তে (পূর্বে টাইকন নামে পরিচিত) অংশগ্রহন করে। বৃহত্তম প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের এই সম্মেলন ৪ এবং ৫ ই মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির সান্টা ক্লারা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছে এবং সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল এআই, ব্লকচেইন, সাইবার সিকিউরিটি এবং ফিনটেক।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন টাই ঢাকার সভাপতি এবং ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এন্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এর মহাসচিব এবং বিডি ভেঞ্চার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন এবং আইপে সিস্টেমস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জাকারিয়া স্বপন।
এই প্রতিনিধি দল টাই এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান কানওয়াল রেখি, সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক টাই গ্লোবাল চেয়ারম্যান সুহাস এস পাটেল, বর্তমান টাই গ্লোবাল চেয়ারম্যান নিতিন রায়।এবং অন্যান্য টাই প্রতিষ্ঠা সদস্যদের সাথে একাধিক বৈঠক করেন। প্রথম ইন্দো-আমেরিকান কানওয়াল তার প্রতিষ্ঠিত এক্সিলান প্রতিষ্ঠানকে আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জ নাসডাকে পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন। তিনি নোভেলে এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং চীফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে সুহাস ১৯৯২ সালে টাই এর প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি সল্ট লেক সিটিতে পাতিল সিস্টেমস ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১৯৮৪ সালে সিলিকন ভ্যালিতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এটি নামকরণ করা হয় সিরাস লজিক। তিনি দ্বিতীয় ইন্দো-আমেরিকান হিসেবে সিরাস লজিককে নাসডাকে তালিকাভুক্ত করেন। অন্যদিকে, গ্লোবাল চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি, নিতিন টাই গ্লোবাল এলায়েন্সের চেয়ারম্যান এবং টাই অরেগন এঞ্জেলস এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও নিতিন এলিভেট ক্যাপিটালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং ফার্স্ট ইনসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সভায়, প্রতিনিধিদল টাই ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড ও তথ্যের ব্যবহার, টাই এর নেটওয়ার্ক, এবং পরামর্শ অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা এবং স্টার্টঅ্যাপের পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং কর্মসূচিতে অংশগ্রহনে সম্মত হন।
টাই পঁচিশ বছর ধরে সফলতার সাথে টাইকন সম্মেলন করে আসছে। এবারের টাই ইনফ্লিক্ট ২০১৮ সম্মেলনটির মূল আলোচ্য ছিল ব্যাবসা ও মানবজীবনে এআই এর প্রভাব। মূল বক্তৃতায় ছিলেন ডঃ রমেশ ওয়াধওয়ানি, সিমফাোনি টেকনোলজি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও, কোড প্রতিষ্ঠানের (কোড.ওআরজি) সিইও হাদি পার্তোভি; জয় চৌধুরী, জেডস্কেলার কোম্পানির সিইও, চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা; জ্যোতি বানসাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা, হারনেস এবং থমাস কুরীয়ান, প্রেসিডেন্ট অফ প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, ওরাকল।
টাই একটি অলাভজনক, বৈশ্বিক সম্প্রদায় যা সফল উদ্যোক্তাদের একটি গ্রুপ দ্বারা ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম উদ্যোক্তা সংস্থা। শামীম আহসান ও সোনিয়া বশির ২০১৪ সালে টাই ঢাকা দ্বারা ঢাকার উদ্যোক্তাদের সহায়তায় পরামর্শদান, নেটওয়ার্কিং, শিক্ষাদান, ইনকিউবেটিং এবং অর্থায়ন সহযোগিতার উদ্দেশ্যে টাই ঢাকা প্রতিষ্ঠিতা করেন। ঢাকার সফল উদ্যোক্তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন টাই ঢাকার চার্টার সদস্য।
বৃহত্তম উদ্যোক্তা সম্মেলন টাই ইনফ্লিক্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
previous post