এ কে এম ফাহিম মাশরুর নিজে লম্বা-চওড়ায় যতখানি বড় মানুষ, তেমনি উদ্যোক্তা হিসেবে তার স্বপ্নগুলোকে আরও বড় করে তুলেছেন। বিডিজবস নিয়ে তার সফলতার গল্প সবার জানা। কিন্তু তার বেশতো নিয়ে সফলতার গল্প কজন জানেন? পাঁচ পেরিয়ে ছয়ে পা দিয়েছে ফাহিম মাশরুরের মাইক্রোব্লগিং ও প্রশ্নোত্তরের সাইট বেশতো। যে ছোট স্বপ্নের বীজ ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি বুনেছিলেন পাঁচ বছর যে সার পানি দিয়ে বড় করেছেন চারাগাছটি আজ ৫ বছরে এসে তাতে অপরাজিতার মতো নীল ফুল ফুটতে শুরু করেছে।চলুন বেশতোর গল্প শুনি ফাহিম মাশুরুরের মুখ থেকে।
এ কে এম ফাহিম মাশরুর (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৭২) বাংলাদেশের একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি।তিনি বিডিজবস ডট কম, আজকের ডিল ডট কম ও বেশতো ডট কম-এর অন্যতম কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেছেন।
বেশতো নিয়ে কি ভাবছেন?
ফাহিম মাশরুর: শুরুটা ছিল কঠিন। এখন সামনে বিস্তৃত পথ।বেশতোর এখন অনেক ব্যবহারকারী। বাংলা ভাষায় এত বড় সোশাল সাইট আর নেই। এখানে প্রতিদিন ৫০০ প্রশ্ন জমা পড়ছে। মাসে প্রায় ৭ লাখ ভিজিটর আসছে। এক লাখের বেশি নিবন্ধিত ব্যবহারকারী আছেন।যেহেতু বাংলা ভাষাকে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বেশতোকে নিয়ে তাই অনেক দূরের স্বপ্ন দেখি।
বেশতো শুরুর কথা কিছু বলুন
ফাহিম মাশরুর: বাংলা কনটেন্টকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে বেশতোর শুরু। ২০১৩ সালের কথা। চালুর পর অনেকেই বাংলায় টুইটার মনে করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবহারকারী বেড়েছে। বেশতো এখন নিজেই পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বেশতো কেন গুরুত্বপূণ হয়ে উঠবে?
ফাহিম মাশরুর: সামনে বাংলায় যতো প্রশ্ন কেউ গুগলকে করবে গুগল সাচ থেকে বেশতোর উত্তর সামনে চলে আসবে। কারণ বেশতোর উত্তর ব্যবহারকারীরা দেন। একেকটি প্রশ্নের অনেক উত্তর আছে। সাইটটিও ইন্টারঅ্যাকটিভ। সবাই আড্ডা দিতে পারেন।
নতুন কি ফিচার আসবে?
ফাহিম মাশরুর: বেশতোতে যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি। আটিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। প্রশ্ন মুখে বললেই হবে। টাইপ করার ঝামেলা নেই।
বেশতোকে কোথায় দেখতে চান?
ফাহিম মাশরুর: বেশতো আরও অনেকদূর যাবে। বাংলাভাষার কনটেন্টকে আরও সমৃদ্ধ করবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যবহারবান্ধব প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত হবে।