এশিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলে আইসিটি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি এবং অ্যাসোসিও’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি “অ্যাসোসিও” এর সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার ‘দ্য অ্যাসোসিও অনারারি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করায় বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফট্ওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে। অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড হচ্ছে আইসিটি খাতের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
বেসিস এর কারওয়ান বাজারস্থ সভাকক্ষে উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার । বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বেসিসের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট তৌহিদুল ইসলাম, উপদেষ্টা শেখ আবদুল আজিজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান। বেসিসের ইসি কমিটির সদস্যগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন গত ৮ নভেম্বর জাপানের টোকিওর এনা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০১৮’ অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও’র বর্তমান চেয়ারম্যান ডেভিট ওয়াং জনাব কাফির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন।
অ্যাসোসিও প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ ৩৫ বছরে এই সর্বোচ্চ সন্মাননা পুরস্কর পেয়েছেন মাত্র ৩ জন প্রযুক্তিবিদ তারা হলেন কোরিয়ার ড.ওয়াই টি লি, তাইওয়ান এর রিচার্ড ইন, মালয়েশিয়ার হেরিস টান। আব্দুল্লাহ এইচ কাফি হলেন এই সর্বোচ্চ সন্মাননা পুরস্কার বিজয়ী চতুর্থ ব্যক্তি। এছাড়াও এবারের ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০১৮’ তে চারটি বিভাগে সম্মাননা পেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ দেশের চার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরকে তুলে ধরতে আইটি ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ এইচ কাফি নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ট্রেডবডি গুলোর সাথে বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন গুনিজনদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। গুণিজনদের সম্মানিত করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃজনশীল কাজে আরও অনুপ্রাণীত হবে।
মন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তির এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন অ্যাসোসিও থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন নিঃসন্দেহে দেশের জন্য গৌরবের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী নির্দেশনা তথ্যপ্রযুক্তিতে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ রোল মডেল বিবেচিত হচ্ছে। এভাবেই একদিন আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবর্ধনার জবাবে আব্দুল্লাহ এইচ কাফি বলেন,‘ অ্যাসোসিও’র দেয়া সর্বোচ্চ সন্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি নি:সন্দেহে অতি আনন্দের ও গৌরবের। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সময় উপযোগী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা ও এ বিষয়ে উপযুক্ত বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশে এমন পুরস্কার আসে আমার এ পুরস্কার প্রাপ্তি তারই স্বীকৃতি বলেই তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, অ্যাসোসিও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান এবং অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অ্যাসোসিও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ প্রদান করে। এছাড়া আইসিটি সেক্টরে অনন্যঅবদান রাখায় বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে আজীবন এসোসিও সম্মাননা প্রদান করে। মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহতীর মোহাম্মদ ১৯৯৮ সালে এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চিংওয়াক্তা ২০০৪ সালে অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। পরে মন্ত্রী জনাব কাফিকে বেসিসের পক্ষ থেকে টোকেন অব এপ্রোসিয়েশন প্রদান করেন।