আমি বেসিসের ভোটার নই, তাই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহও কম। তবে নির্বাচন নিয়ে যা হচ্ছে তাদের বিনোদনের প্রচুর খোরাক রয়েছে। ফলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। তাই চোখ পেতে আছি।
প্রতিবার বেসিস নির্বাচনের আগে পদ প্রত্যাশীদের (দুই একজন বাদে) মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনি। ‘এবার আর ওরকম হবে না।’ ‘আমরা ওদের মতো না।’ ‘আপনাদের সঙ্গে বসে কৌশল ঠিক করবো।’ ‘মিডিয়াকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। মাঝে মাঝে আমরা আপনাদের সঙ্গে বসবো।’ ‘মিডিয়া না থাকলে আমাদের কর্মকাণ্ড সবার মাঝে পৌঁছবে কীভাবে’ ইত্যাকার নানান কথায় বরাবরই আমরা গলে এসেছি। গলে এতোটাই তরল হয়েছি যে সেই তরলকে কেউ আর বিশেষ পাত্তা দেয়নি। বিজয়ীরা বড় বড় পদে আসীন হয়ে আমাদের বরাবরই বেমালুম ভুলে যান। হয়তো তরল বলে!
‘খুব ব্যস্ত বলে’ বসা হয় না টাইপের কথা শুনিয়েই মেয়াদ পার করে দেন। তবে বিশেষ কোনও প্রেস কনফারেন্স থাকলে মাঝে মাঝে চিরায়ত অভ্যাসে খানিকটা ভিন্নতা দেখা দেয়। নয়তো বরাবরের মতোই চলে। শুধু বেসিস কেন, অন্যান্য সংগঠনের (তথ্যপ্রযুক্তি) ক্ষেত্রেও এমনটাই দেখে আসছি- ‘যে যায় লংকায় সে হয় রাবণ’ টাইপের চিত্র। এবার তো ‘সাংবাদিক গোনার টাইম নাই’ এ ধরনের আওয়াজও কানে এলো। সামনে যে আরও কত কি শুনতে হয়!
এতো গেল কেবল একটা দিকের কথা। আরও কত আছে! ফেসবুকে যেভাবে সব তুলে ধরা হচ্ছে তাতে করে মনে হচ্ছে দেশ উদ্ধারের সব দায়িত্ব বেসিস নেতাদের। বানিয়ে ফেলা হচ্ছে জনপ্রতিনিধি। চাওয়াটা হয়ে যাচ্ছে বিশাল। এটা যে কেবল একটা ব্যবসায়ীদের সংগঠন তা আমরা মাথায় রাখছি না!
বরাবরের মতো এবারও যারা নেতা হবেন তারা তাদের আগের নেতাদের ফলো করবেন, ভোটের আগে মিষ্টি কথা শুনিয়ে পরে আর মিডিয়াকে চিনবেনই না। যা-ই করবেন তার একটা প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে ‘বিশাল কাজ করে ফেলেছেন’ বলে ভালো কাভারেজ চাইবেন, ছবিসহ বিদেশ ভ্রমণের নিউজ ছাপাতে চাইবেন (পরবর্তীতে কী কাজ এলো তার কোনও প্রেস রিলিজ আসবে না)।
ফলে আমরা এবারও আশা করতে পারি আগে যা হয়েছে, বেসিসের নতুন কমিটি এলেও তা-ই হবে।
আমরা বরং সেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।
হিটলার এ হালিম: ফেসবুক পোস্ট থেকে
previous post