আর মাত্র কদিন বাকি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পরিচালনা পর্ষদের ২০১৮-২০ মেয়াদের নির্বাচনের।যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের দিন, প্রার্থীদের প্রচারণাও ততই বেড়ে চলছে। তাঁরা সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণায়। এবারের নির্বাচনে নয়টি পদের বিপরীতে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় বেসিসের এই নির্বাচন নিয়ে এবার কথা হয়েছে জানালা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের সঙ্গে। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ‘টিম হরাইজন’ প্যানেল থেকে।
বেসিস নির্বাচনে কেন প্রার্থী হয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন বলেন, আইসিটি খাতে আমার অভিজ্ঞতা ২০ বছরের বেশি। এর মধ্যে অনেক বাঁধা, বিপত্তি গেছে। বলা চলে, সফলতার পাশাপাশি নানান চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে পার করেছি। এ খাতে আমার যে অভিজ্ঞতা তা নতুনদের জন্য কাজে লাগানো দরকার বলে মনে করি। যাতে তাঁরা উপকৃত হয়। তাই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।
তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন জানান, দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। তাদের মধ্যে ভালো একটা সমন্বয়, যোগাযোগ প্রয়োজন। কারণ, একেকটি প্রতিষ্ঠান একেকটি ক্ষেত্রে ভালো। সবার সব যে ভালো তা নয়। আর তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি প্রতিষ্ঠান যে সব করতে পারবে তাও নয়। তাই সবার মধ্যে সমন্বয় থাকলে দেশের আইসিটি শিল্প এগিয়ে নেওয়া যাবে। তাই তিনি নির্বাচিত হলে সবাই যেন একে অপরকে সাহায্য করে, সে কাজটি বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। কারন “কোলাবরেট” আমরা অনেক বড় কিছু অর্জন করতে সক্ষম হব।
আর কী কী করবেন প্রশ্নের জবাবে তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের জবাব, আইসিটি জ্ঞানের জন্য এখানে যে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে, তা এর মধ্যে আটকে না রেখে সফট স্কিলেও জোর দেওয়ার জন্য কাজ করব। শিক্ষাব্যাবস্থায় দূরদর্শী পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তিতে দক্ষজনবল নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ এ আমাদের বড় ধরণের সমস্যায় পড়তে হবে। কারন দক্ষ নৈতিক উত্তরণ ছাড়া কখনই উন্নতি সম্ভব নয়। নারীদেরকে এগিয়ে আনার জোর প্রচেষ্ঠা থাকবে। কেননা, দেশের আইসিটি খাতে নারীরা এখনও সেভাবে আসছে না। দেশীয় বাজারে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রাধিকারের ব্যাপারে আমাদের কাজ করতে হবে।
আসন্ন বেসিসের এই নির্বাচন সুষ্ঠ হবে বলে প্রত্যাশা তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রার্থীরা একে অপরকে সম্মান করবেন। এবারের নির্বাচন নিয়ে এই প্রতিদ্বন্দ্বীর মতামত, এমন প্রার্থীরই নির্বাচনে জেতা উচিত যার ভিশন, জ্ঞান পরিস্কার। যার ভালো আইসিটি পলিসি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, বেসিসের নেতৃত্বে তাঁর আসা দরকার। কেননা, সামনের দুই বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আমাদের আমাদের যেসব লক্ষমাত্রা রয়েছে তা অর্জন করতে হলে ভালো পলিসি অবলম্বন করতে হবে। এ জন্য অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে বেসিসের নেতৃত্ব গঠিত হলে অনেকদূর আগানো যাবে।
ব্যবসায়ের পাশাপাশি বেসিসের সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতাও অনেক বছরের তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের। তিনি ২০১০-২০১২ সালে বেসিসের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির। এছাড়া যুক্ত ছিলেন বেসিসের নানা উদ্যোগে। বিভিন্ন পলিসি রিফর্মে কাজ অবদান রেখেছেন।