ডব্লিউএসআইএস ফোরাম ২০১৯ এর চেয়ারম্যান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আজকের দুনিয়ায় বড় সম্পদের নাম হচ্ছে তথ্য। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে তথ্য অপরিহার্য। বিশ্বে বৈষম্যহীনভাবে প্রযুক্তি রূপান্তরের জন্য ডব্লিউএসআইএস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। সারা দুনিয়া এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বে প্রতিটি দেশ, প্রতিটি মানুষ একে অপরের সাথে সংযুক্ত। এটাই প্রযুক্তির সুফল। বৈষম্যহীন প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব গড়তে শিল্পোন্নত এবং ধনী দেশগুলোই নয়, অনুন্নত আর উন্নত দেশ সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ডব্লিউএসআইএসকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বহুমাত্রিক অংশিদারদের প্লাটফর্ম ডব্লিউএসআইএস ফোরাম-১৯ এর চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাফা জব্বার গতকাল জেনেভায় এক টিভি সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এক প্রশ্লের জবাবে টেলিভিশনকে বলেন, বাংলাদেশ ছিল একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ শরীক হতে পারেনি। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণা করেন। গত দশ বছরে ডিজিটাল বিপ্লব কৃষি নির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সক্ষমতায় রূপান্তর করেছে। বাংলাদেশই পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণাকারি দেশ। তার পর পৃথিবীর অনেক দেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা রিভিউলিশন ফোর পয়েন্ট জিরো‘র কথা বলছে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশ আলাদা আলাদা বৈশিষ্টে আবর্তিত হওয়ায় একেক দেশের প্রেক্ষাপট একেক রকম। ফাইভজি, রোবটিক কিংবা আইওটিসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি কোন কোন দেশের জন্য অসুবিধাজনক, আবার কারও জন্য বড় সুযোগ এবং কারো জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রতিটি দেশকে তার নিজ¯^ উপায়ে নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে হবে, প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যাসমূহকেও গুরুত্বসহকারে নিতে হবে।
প্রযুক্তির নতুন ভার্সন ৫জি অভাবনীয়ভাবে ড্রাইভার বিহীন গাড়ী চালানো কোন দেশের জন্য আশির্বাদ। আবার সারা দুনিয়ায় এক দশমিক দুই বিলিয়ন ড্র্ইাভার বেকার হওয়ায় অন্য কোন দেশের বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য মোটেও তা সুখকর নয় উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতার ঘাটতি থাকায় তা বাংলাদেশের জন্য হবে চ্যালেঞ্জের। এই ক্ষেত্রে রূপান্তরের জন্য ডব্লিউএসআইএস একটি ভাল প্লাটফর্ম। ডব্লিউএসআইএস গোটা পৃথিবীর প্রতিনিধিত্বকারি একটি ফোরাম উল্লেখ করেন ডব্লিউএসআইএস চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাফা জব্বার।
‘টেকসই উন্নয়নের ল¶্য অর্জনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি‘ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জেনেভায় ১৫০ টির বেশি দেশের ১০০ জনেরও বেশি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীসহ ৩ হাজারের বেশি প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ’দ্যা সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত।
আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘের এ রকম বড় কোনো সামিটের চেয়ারম্যান হওয়ার ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম।
বৈষম্যহীন প্রযুক্তি-বিশ্ব গড়তে ডব্লিউএসআইএসকে কাজ করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
previous post