“গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত সমাজ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আজ পালিত হলো জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৯।
এ উপলক্ষ্যে সংস্থাটির ফুলার রোড কার্যালয়ে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ডিজিটাল ওয়ালের উদ্বোধনী, বিনামূল্যে মাইক্রো:বিট কম্পিউটার কোডিং ও প্রোগ্রামিং ক্লাস এবং উদ্ভাবনী খেলা টয় ব্রিকস (শিশুদের জন্য প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা ইঁট) ক্রিয়েটিভ প্লে সেশন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিজিটাল লাইব্রেরির উল্লেখযোগ্য ফিচার হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে দি ডিজিটাল ওয়াল। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনাব আশীষ কুমার সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশের লাইব্রেরি খাতের উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত কেন্দ্রীয় র্যালিতে অংশ নেয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্প।
এ প্রসঙ্গে লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্পের পরিচালক জনাব কার্স্টি ক্রফোর্ড বলেন, “লাইব্রেরি খাতে আধুনিকায়ন ও লাইব্রেরিসমূহে পাঠক বৃদ্ধি করার জন্য জাতীয় গ্রন্থাগার বিভাগের সাথে কাজ করছি আমরা। আমরা নতুন অনেক সেবা চালু করা নিয়ে কাজ করছি যা বাংলাদেশী লাইব্রেরিগুলোর জন্য নতুন, যেমন- লাইব্রেরিতে পাঠকদের জন্য ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধি করা, মাইক্রো:বিট কম্পিউটার কোডিং ক্লাস ও শিশুদের বিকাশের জন্য টয় ব্রিকস নিয়ে খেলার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, এটি ছিলো দ্বিতীয়বারের মতো পালিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই দিনটি যা প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।