ভারতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে (আইসিপিসি) বিচারকের দায়িত্ব পালন করলেন বাংলাদেশের কাজী হাসান জুবায়ের। সম্প্রতি ভারতের কলকাতা-কানপুর সাইটে শেষ হওয়া এসিএম (অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি) আইসিপিসির আঞ্চলিক সাইটের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারক হওয়া সম্পর্কে জুবায়ের বলেন, কয়েকমাস আগে বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. কায়কোবাদ আমাকে জানান এসিএম-আইসিপিসির কলকাতা-কানপুর সাইটের আয়োজকরা বাংলাদেশ থেকে একজন বিচারক চাচ্ছেন। ড. কায়কোবাদ চাচ্ছিলেন আমিই যেন সেই দায়িত্ব নিই। এসিএম আইসিপিসি আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতার মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে বিচারক হিসেবে থাকার সুযোগটা ছিল অপ্র্যাশিত।
কাজী হাসান জুবায়ের বর্তমানে কনা সফটওয়্যার ল্যাবের প্রকৌশলী (গবেষণা ও উন্নয়ন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন। এর আগে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন জুবায়ের। তবে এবারই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারক হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন।
ভারতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ছাত্র থাকাকালে প্রতিযোগী হিসেবে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। তারপরেও এই অভিজ্ঞতা তার কাছে একেবারেই নতুন বলে মনে হয়েছে। এ সম্পর্কে জুবায়ের বলেন, প্রতিযোগিতার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি চাপ অনুভব করছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল, যদি আমার দেওয়া সমাধান ভুল হয়! আমার ভুলের জন্য অনেক প্রতিযোগী বিপর্যস্ত হবে।
ভারতে বিচারক দলে থাকার অভিজ্ঞতা বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার সময় সবকিছু ভালো গেছে। ভারতের অভিজ্ঞ বিচারকরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
এসিএম আইসিপিসি কনটেস্ট এমনভাবে পরিচালিত হয় যেখানে একজন বিচারককে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে থাকতে হয় সম্পূর্ণ মনোযোগী। একজন প্রতিযোগীর একটি সমাধান বের করলেই চলে কিন্তু একজন বিচারকের সম্ভাব্য সবকয়টি সমাধান বের করতে হয় এবং সেগুলো যাচাই করতে হয়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এসিএম-আইসিপিসি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। মূল পর্বের প্রতিযোগী বাছাইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে এ ধরনের ১০০টিরও বেশি আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিটি প্রতিযোগিতা থেকে একটি বা দুটি দল ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নেয়। গত বছর ফাইনালে অংশ নিয়েছিল ১৩৩টি দল।