প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনে নতুন কিছু সংযোজনের প্রচেষ্টায় থাকে ভিভো। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের নতুন ফোন ভি৫০ ফাইভজি-তে ভিভো দিচ্ছে প্রো লেভেল পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা। প্রতিটি ছবি আরও নিখুঁত ও আরও প্রাণবন্ত করতে ভিভোর ভি৫০ ফাইভজি ফোনে এবার যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক জাইস প্রযুক্তির ইমেজিং সিস্টেম।
জাইস ক্যামেরায় প্রতিটি ছবি মাস্টারপিস
অপটিক্স প্রযুক্তির জগতে বিশ্বখ্যাত নাম জাইস। ফটোগ্রাফিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে জাইসের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো তৈরি করেছে ভি৫০ ফাইভজি। এই সহযোগিতার ফলে ভিভো ভি৫০ ফাইভ ফোনটিতে যুক্ত হয়েছে আরও উন্নত ইমেজিং সিস্টেম। ফলে নতুন এ ফোন ফটোগ্রাফি ও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য পার্ফেক্ট একটি অপশন। ফোনটির প্রতিটি ক্যমেরাই ৫০ মেগাপিক্সেলের জাইস অল মেইন ক্যামেরা। তাই যেকোনো ছবি মনে হয় আরও প্রফেশনাল ও বাস্তব।
ভিভো ভি৫০ ফাইভজি এর ১/১.৫৫” সুপার সেন্সিটিভ বড় ক্যামেরা সেন্সর এবং সিআইপিএ ৪.০ ডিএসএলআর লেভেলের স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি থাকার কারণে রাতে ছবি তোলার সময় ছবিগুলো হবে আরও স্পষ্ট এবং সুন্দর। এ স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি থাকার কারণে ছবি তোলার সময় হাত নড়ে গেলেও ছবি ঘোলা হয়ে যাবেনা। ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস গ্রুপ সেলফি ক্যামেরায় অটোফোকাস ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স আছে, যাতে গ্রুপ সেলফিতে থাকে আরও ডিটেইলস।
প্রোফেশনাল পোর্ট্রেটে প্রতিটি ছবি জীবন্ত গল্প
ক্যামেরা প্রযুক্তিতে মাল্টিফোকাল অপশন যোগ হওয়ায় একাধিক ফোকাল লেন্থ (২৩ মি.মি, ৩৫ মি.মি, ও ৫০ মি.মি) ব্যবহার করে আরও ডিটেইলড ছবি তোলা সম্ভব। এতে প্রতিটি ছবি হবে আরও প্রফেশনাল। ভিভো এবং জাইসের যৌথ গবেষণায় তৈরি ভিভো ভি৫০ ফাইভজি ফোনের ক্যামেরার পোর্ট্রেট মোডে পেশাদার লেন্সের মতো বোকেহ (ব্লার) ইফেক্ট যোগ করা হয়েছে। এতে আছে ৭ টি ভিন্ন পোর্ট্রেট স্টাইল যাতে ছবি হয়ে ওঠে আরও সিনেমাটিক।
পোর্ট্রেটে ন্যাচারাল গ্লো
ভালো পোর্ট্রেট তুলতে আলোর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিবেচনা করে ফোনটির ক্যামেরায় রয়েছে এআই অরা লাইট পোর্ট্রেট ফিচার, যা ১৪৩ গুণ আল্ট্রা-সফট ফিল লাইট ব্যবহার করে স্টুডিও-মানের লাইটিং নিশ্চিত করে। এছাড়া এআই থ্রিডি স্টুডিও লাইটিং মুখের গঠন অনুযায়ী নিখুঁত আলো দিয়ে ছবিকে করে তোলে আরও স্পষ্ট। ফোনে উপস্থিত এই অরা লাইটটি সরাসরি ব্যবহার করা যাবে ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট ও ইন্সটাগ্রামের মতো থার্ড পার্টি এপগুলোতেও।
প্রফেশনাল এডিটিং আরও সহজ
ভিভো ভি৫০ ফাইভজি ফোনের এআই ইমেজ স্টুডিওতে রয়েছে এআই অরা লাইট, এআই ইরেজ ২.০, এআই ফটো ইনহ্যান্স, এবং লাইভ কাট আউট ফিচার। সাথে আরও একটি নতুন ফিচারও নিয়ে এসেছে এই স্মার্টফোনটি, যা স্মার্ট সার্কেল এবং ম্যানুয়াল ইরেজারের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রত্যাশিত মানুষ বা বস্তু সরিয়ে দিয়ে ব্যবহারকারীদের এডিটিং এক্সপেরিয়েন্স করে সহজ। এছাড়াও ফোনটির লাইভ কাটআউট অপশন ব্যবহার করে নিজের ইমোজি বা স্টিকার তৈরি করে সৃজনশীলভাবে অনুভূতি প্রকাশ করা সম্ভব।
স্লিম ডিজাইনে শক্তিশালি ব্যাটারি ও স্মুথ পারফরম্যান্স
স্টাইল ও পারফরম্যান্সের এক অনন্য মিশ্রণ ভিভো ভি৫০ ফাইভজি। শক্তিশালি ৬০০০ এমএএইচ ব্লু-ভোল্ট ব্যাটারি থাকার পরেও অত্যন্ত স্লিম ডিজাইনের এ ফোন অনায়াসে ব্যবহার করা যায় দীর্ঘসময়। এছাড়াও এতে আলট্রা স্লিম ফোরডি ইনফিনিটি কার্ভড স্ক্রিন থাকায় ব্যবহারে আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি দেখতেও আধুনিক। সাথে আছে অত্যন্ত দ্রুতগতির ৯০ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তি, যা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে। আর ১০ মিনিট চার্জ দিলেই কথা বলা যায় ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত।
স্ন্যাপড্রাগন® ৭ জেন ৩ ও ১২ জিবি র্যামের সাথে আরও ১২ জিবি পর্যন্ত এক্সটেন্ডেড র্যাম ফোনটিকে একাধিক কাজ পরিচালনা করার জন্য অত্যন্ত দ্রুত এবং স্মুথ করে তোলে। ফানটাচ ওএস ১৫ এবং গুগল জেমিনি এআই প্রযুক্তি ভিভো ভি৫০ ফাইভজি ফোনকে গেমিং, মাল্টিটাস্কিং ও ছবি-ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য করে বাধাহীন এবং দ্রুত পারফরম্যান্স দেয়। এই প্রযুক্তি ৬০ মাস পর্যন্ত স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। অন্যান্য এআই ফিচারগুলো, যেমন ট্রান্সক্রিপ্ট অ্যাসিস্ট, সার্কেল টু সার্চ এবং লাইভ টেক্সট অপশন দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ, স্মার্ট এবং দ্রুত করে তোলে।
ভিভো ভি৫০ ফাইভজি ফোনের স্ট্যারি ব্লু সংস্করণে হলোগ্রাফিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে, যা থ্রিডি ইফেক্ট তৈরি করে। আর স্যাটিন ব্ল্যাক রঙটি ফোনটিকে একটি আভিজাত্যের প্রতিচ্ছবি হিসেবে তুলে ধরে। আকর্ষণীয় এই ফোনটির দাম মাত্র ৬২,৯৯৯ টাকা।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।