ডিজিটাল যুগে যা কিছু সবার জন্য ভালো, তা নিয়ে কথা বলতে গোটা বিশ্ব থেকে প্রযুক্তিবিশারদরা মিলিত হয়েছেন ভ্যাটিকান সিটিতে। পোপ ফ্রান্সিসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘দ্য কমন গুড ইন দ্য ডিজিটাল এজ’ শিরোনামের এই আয়োজনে বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ।
ভ্যাটিকান সিটির এই প্রযুক্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬, ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর। তিন দিনের এই সম্মেলনটি মূলত ডিজিটাল প্রযুক্তির সাম্প্রতিক উন্নয়ন, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একটি সামাজিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সংলাপ ছিল। এই আয়োজনে ডিজিটাল যুগের অভিন্ন ইতিবাচকতা নিয়ে কথা বলেছেন আজিজ আহমদ। তিনি ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও কডার্স্ট্রাসস্টের কো-ফাউন্ডার।
ভবিষ্যতে কাজের ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে ভ্যাটিকান প্রযুক্তি সম্মেলনে আজিজ আহমেদ একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া ইউরোপের সেবাকর্মীদের ইউনিয়ন ইউনি-ইউরোপার অলিভার রোথিগ ও হংকং-ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিজিনেক্সের ম্যালকম রাইটের সঙ্গে একটি প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নিয়েছেন তিনি। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম কার্যালয়ের প্রতিনিধি আন্না বিওন্ডি।
‘দ্য কমন গুড ইন দ্য ডিজিটাল এজ’ সম্মেলন প্রসঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘মানব সভ্যতা এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। প্রযুক্তি আমাদের সেই যুগসন্ধিক্ষণে এনে দাঁড় করিয়েছে। একইসঙ্গে দুইটি শতাব্দীর পরিবর্তনের ঢেউ আমাদের ডিজিটাল যুগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মানবতার উন্নয়নে এর ভূমিকা অপরিসীম। একইসঙ্গে প্রযুক্তি অর্থনৈতিক ক্ষমতারও উৎস। যাদের হাতে এই ক্ষমতা রয়েছে, তাদের সে ধরনের কোনো প্রশিক্ষণ নেই, যা দিয়ে তারা কল্যাণের পক্ষে এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবে।’
এ আয়োজনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে অভিভূত ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের সিইও ও কডার্স্ট্রাসস্টের কো-ফাউন্ডার আজিজ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এরকম একটি সম্মানজনক আয়োজনে পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকজন প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বের সঙ্গে উপস্থিত হতে পারায় আমি আনন্দিত। এখানে ব্যবসায়ী নেতারা যেমন সমস্যার কথা বলেছেন, আমরা তেমন সেসব সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার কথা বলেছি, যা বিশ্ব নাগরিকদের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।’
উল্লেখ্য, ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। নিউইয়র্কভিত্তিক সনদপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সমাধান দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষভাবে সুশাসন, ঝুঁকি ও নিশ্চয়তা; ক্লাউড মাইগ্রেশন; উন্নয়ন সম্ভাবনা; গতিশীলতা; সাইবার নিরাপত্তা ও সফটওয়্যার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে থাকে।
কোডারস ট্রাস্ট একটি বিশ্বব্যাপী দক্ষতা বিকাশকারী সংস্থা, যা ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আইসিটিতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে এর শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষকে পেশাদার ওয়েব ডেভলপার, ডিজাইনার, বিপণনকারী এবং আরও অনেক কিছু হয়ে উঠতে প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের পুরো জীবনযাত্রা এবং ক্যারিয়ার পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়।