আজ মন্ত্রীপরিষদ সভায় ডিজিটাল কর্মাস নীতিমালা-২০১৮ পাস হয়েছে। ক্রমবর্ধমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ই-কমার্স খাতের বাজার স¤প্রসারণ ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ নীতিমালার গুরুত্ব অপরিসীম।
ডিজিটাল কর্মাস নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল কমার্স ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার স্বিার্থ সংরক্ষণে নীতিগত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গঠন তৈরি এ নীতিমালার অন্যতম উদ্দ্যেশ্য। পাশাপাশি, এ নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টির ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এ নীতিমালার কারণে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডিজিটাল কমার্স স¤পর্কিত সচেতনতা এবং এ খাতের অংশীজনদের মধ্যে পার¯পরিক ভারসাম্যও তৈরি হবে।
ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮ অনুমোদিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে অভিনন্দন জানিয়ে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা আমাদের অগ্রসরমান ই-কমার্স খাতকে সুসংহত করবে। বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ই-কমার্স অনেক এগিয়ে গেছে। অনেক বৈশ্বিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উপমহাদেশের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেছে। আমাদের স্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হলে দেশের উন্নয়নে কার্যকরী ভ‚মিকা রাখবে।
উল্লেখ, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন ও পরিমার্জনে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রেখেছে বেসিস। বিশেষ করে বেসিস ই-কমার্স অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক
মোক্তাফিজুর রহমান সোহেল, বেসিস ডিজিটাল কমার্স স্থায়ী কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম খসড়া জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা তৈরিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা পাস হওয়ায়, এ খাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার নিশ্চিত হলো। বেসিস দীর্ঘদিনের ধরেই ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে, যা এ নীতিমালা প্রণয়নের কারণে আরো বেগবান হবে।