ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ যান মোস্তাফা জব্বার। তাঁকে স্বাগত জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। হাতে তুলে দেন নৗকা।
বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নিয়ে তা পালন করার বিষয় আছে। কিন্তু বিটিআরসি এককভাবে তার সমস্ত কার্যক্রম চালাতে পারে-এটি কিন্তু না। একসময় লাইসেন্সিং হতে শুরু করে সবকিছু কেবলমাত্র বিটিআরসির কাছে ছিল। এখন এটি মন্ত্রণালয়সহ মিলে করতে হয়।‘বিটিআরসি ডেফিনেটলি মাঠ পর্যায়ে ইমপ্লিমেন্ট করবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু মন্ত্রণালয় সেখানে কথা বলবে, প্রশ্ন করবে।’মন্ত্রী জানান, ‘কাউকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় না, বিষয়টা হচ্ছে জনগণের পক্ষে কাজ করছে কিনা। কোনো প্রতিষ্ঠানের ওই জায়গাটা নিশ্চিত করা এবং সেই জায়গাটার ক্ষেত্রে আমাদের যে ভূমিকা আছে।’
মতবিনিময় সভায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাইজেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে মূল জায়গা। আমাদের কানেক্টিভিটি সব জায়গায় থাকার পরও সেটা যদি ব্যবহার না থাকে তাহলে, ব্যবহারের যোগ্য হিউম্যান রিসোর্স না থাকে তাহলে উন্নয়ন সম্ভব না।
পলক জানান, খুব অল্প সময়ের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলমেন্ট করে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।‘আগে ই-গভর্ন্যান্স একদমই ছিল না। ৯ বছরে ৪০ শতাংশ ই-গভর্ন্যান্সে আসা গেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ ই-গভর্ন্যান্স বাস্তবায়িত হবে।’বিসিসি এবং এটুআই মিলে প্রায় ১৫০০ এর মতো সেবা অটোমেশেনের জন্য তালিকায় এনেছে। সেখান হতে আগামী এক বছরের মধ্যে অধিকাংশ বাস্তবায়ন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।