টরেন্টফ্রিকের এক প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি ব্লকচেইন ভিত্তিক বাউন্টি সিস্টেম আর্গাসের বিস্তারিত কার্যক্রম নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট। যেখানে এটিকে সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধে অন্যতম স্বচ্ছ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
মাইক্রোসফট ও অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টদের মতো কপিরাইট হোল্ডারদের ক্ষতি করার পাশাপাশি যেসব গ্রাহক বা ব্যবহারকারী অনলাইন থেকে পাইরেটেড সফটওয়্যার ডাউনলোড করেন তারাও মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন।
গত বছর মুসো প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে বলা হয়, পাইরেটেড সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য যেসব ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে ট্রাফিক বৃদ্ধি পেলে যেকোনো সময় ব্যবহারকারীরা মারাত্মক ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হতে পারেন।
মাইক্রোসফট দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন পাইরেসির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সফটওয়্যার অ্যালায়েন্সের (বিএসএ) একটি অংশ। এ অ্যালায়েন্স অনলাইন জগৎ ও বর্তমান বিশ্বে কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয় দেখভাল করে থাকে।
আর্গাস নিয়ে প্রকাশিত নিবন্ধে মাইক্রোসফট ব্লকচেইন ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। এর ফলে পাইরেসির বিরুদ্ধে কোনো আবেদন জমান আরো সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
স্বচ্ছতার অভাবে পাইরেসি বন্ধের যে উদ্যোগ সেটি ফলপ্রসূ না হওয়ার পেছনের কারণও উল্লেখ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা। তারা জানান, অ্যান্টি-পাইরেসি হলো একটি মৌলিক পদ্ধতি, যেখানে বিস্তৃত জনগণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন শিল্প জোট ও কোম্পানিগুলো পাইরেসি বন্ধে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু স্বচ্ছতার অভাবে এগুলো সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। গবেষকরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রচারাভিযানের সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা মানুষকে সত্যিকারভাবে উৎসাহিত করতে যথেষ্ট।
অন্যদিকে, আর্গাস ব্যবহারকারীদের নাম-পরিচয় গোপন রাখার মাধ্যমে পাইরেসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের সুযোগ প্রদান করবে। সিস্টেমটি একটি গোপন কোডযুক্ত ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করে পাইরেটেড কনটেন্টের উৎস খুঁজে বের করবে।
পাইরেটেড কনটেন্টের বিপক্ষে দাখিলকৃত অভিযোগ ও আপিল খারিজ হলে উেসর লাইসেন্সকে প্রথমে অভিযুক্ত ও পরে দায়ীতে পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু মাইক্রোসফট আদৌ এ সিস্টেম বাজারে আনবে কি আনবে না, সেটি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।