মাধ্যমিকের ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা এখন সহজেই তাদের কাছে পৌঁছে দেবে বিকাশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালিত মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ও দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের যৌথ অংশীদারিত্বে এই উপবৃত্তি বিতরণ করা হবে। দেশজুড়ে প্রায় ১২ হাজার মাধ্যমিক স্কুলের ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নির্ধারিত বিকাশ অ্যাকাউন্টে বছরে দু’বার এই উপবৃত্তির অর্থ প্রেরণ করা হবে।
বিকাশে উপবৃত্তি বিতরণে গত মঙ্গলবার অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক শাহির মুর্তজা মামুন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শামস-উল-ইসলাম এবং বিকাশ লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অগ্রণী ব্যাংক বিকাশকে মোবাইল ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের আহ্বান করা টেন্ডারে উপবৃত্তি বিতরণের জন্য বিজয়ী হয়।
বিকাশের চিফ অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, বিকাশ একাউন্টের উপবৃত্তির টাকা দেশের ১লাখ ৮০ হাজার এজেন্ট পয়েন্টের যে কোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে তুলে নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এতে সহজে, ঝামেলা ছাড়া কম সময়ে উপবৃত্তির টাকা যেমন তাদের হাতে পৌঁছে যাবে তেমন এই ডিজিটাল সেবা শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবার সঙ্গে পরিচিত করে তুলবে।
উল্লেখ্য,মাধ্যমিক শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর আওতায় তিন লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি বিতরণের কাজ করছে বিকাশ। ২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ লিমিটেড ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠিকে নানা ধরনের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।