পদোন্নতি পাচ্ছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ শিক্ষক। সে হিসাবে ৫ হাজার শিক্ষক পদোন্নতি পাবেন। নতুন নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সৃষ্ট সিনিয়র শিক্ষক পদে এসব শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষকদের কাগজ পত্র চাওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিশেষ বাহক মারফত অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান বলেন, নতুন বিধিমালা অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষকের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তাদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই ও পর্যালোচনা করা হবে। তবে দ্রুততম সময়ে এ প্রক্রিয়া শেষ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যেসব সহকারী শিক্ষকের চাকরির ৮ বছর পূর্তি হবে তাদের হিসাবরক্ষণ অফিস প্রদত্ত চাকরির বিবরণী, নিয়োগপত্র, আত্তীকরণ আদেশ, স্থায়ীকরণ আদেশ, নিয়মিতকরণ আদেশ, যোগদান পত্রের সত্যায়িত কপি, প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেওয়া মামলা সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্র এবং চাকরির ধারাবাহিকতা ও চাকরিকালের সন্তোষজনক প্রত্যয়ন পত্র অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া এসব শিক্ষকের বিএড পাস সনদের সত্যায়িত কপি এবং বিগত ৫ বছরের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনও অধিদপ্তরে পাঠাতে আঞ্চলিক উপপরিচালকদের বলা হয়েছে।এর আগে মাধ্যমিক স্কুলের শূন্য পদ পূরণে ১ হাজার ৩’শ ৭৮টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রায় ৪’শ সহকারী শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
দেশে পুরাতন সরকারি মাধ্যমিক স্কুল ৩১৭টি। সরকারি হাইস্কুলে ১০৯টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৪২০ জন সহকারী শিক্ষকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৩৬৮ জন ও সহকারী জেলা শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে ৫২ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতি দেওয়ায় বর্তমানে সরকারি হাইস্কুলে ৯ হাজার ৯২৪ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
তথ্যসূত্র:ইত্তেফাক