সাউথ বিগ ডাটা হাব (SBDH) ও এআই ইন্সটিটি উট অফ এডভান্সেস ইন অপটিমাইজেশন (AI4OPT) এর যৌথ উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (BdOSN) এর সহযোগিতায় প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত মার্কিন এবং বাংলাদেশি মেয়েদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে হারউইল ডাটাথন ২০২২। মূলত ডেটা সাইন্সকে জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। অংশগ্রহনকারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এই ডেটাথন ২০২২ প্রতিযোগতাটি সম্পন্ন হয় ।
ডাটাথনের ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয় মার্চ মাসের ২৮ তারিখ থেকে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত। ডেটাথন অনুষ্ঠিত হয় ২৩-২৫ এপ্রিল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় ২৫ মে ২০২২। এই কর্মসূচীতে বিশ্বের দুটি ভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীরা একত্রিত হয়। অংশগ্রহনকারীদের নির্দেশনা, তত্ত্বাবধান এবং পরামর্শ দেওয়ার জন্য ছয়টি দেশের প্রায় ২০ জন শীর্ষস্থানীয় ডেটা সাইন্টিস্ট অনলাইনে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। ৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১০ জন মেয়ে শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শীর্ষ তিনটি বিজয়ী দল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও ইন্টার্নশিপের সুযোগসহ সম্মিলিতভাবে নগদ ৫ হাজার ৩ শত মার্কিন ডলার পুরস্কার পান। বিজয়ী তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো ৩০ শতাংশ। যেখানে বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো ৬০ শতাংশ। আয়োজন পূর্ববর্তি জরিপে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের ডেটা সায়েন্সের প্রযুক্তিগত দক্ষতার র্যাংকিং ছিল ৩। ইভেন্ট পরবর্তী জরিপে দেখা যায় একই গ্রুপের জন্য এই দক্ষতার র্যাংকিং ৪-এ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডাটাথনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো ৩০ শতাংশ এবং বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো ৬০ শতাংশ। অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে জানতে সমানভাবে আগ্রহ প্রকাশ করে। লিঙ্গ, জাতিগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবিচার ছাড়াও বাংলাদেশের নারীরা নানা অবকাঠামো এবং পরিবেশগত সমস্যারও সম্মুখীন হয়। যেমন: বিদ্যুৎ, ওয়াই-ফাই, কম্পিউটার, আর্দ্রতা, বৃষ্টি এবং ট্রাফিক, যাতায়াত সমস্যা যা বাংলাদেশি মেয়েদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত বাধা-বিপত্তি তৈরি করে। তাছাড়া দ্বিতীয়বারে অংশগ্রহণকারী দলগুলি ডেটা সাইন্স সম্পর্কিত আরো গভীর অভিজ্ঞতা অর্জনের কথা জানিয়েছে।
প্রযুক্তিক্ষেত্রে নারী কর্মীর হার মাত্র ১০ শতাংশ। ডেটা সাইন্স এই প্রযুক্তিবিশ্বে সাড়া ফেলা একটি ক্ষেত্র। যার জন্য রয়েছে প্রচুর কর্মী চাহিদা। হারউইলের লক্ষ্য হল এই সুযোগের ব্যবহারের জন্য ডেটা সায়েন্স শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নারী প্রতিভাকে ফুটিয়ে তোলা এবং দক্ষ ডেটা সাইন্টিস্ট তৈরি করা। যা প্রযুক্তিক্ষেত্রে নারী কর্মীর হার বাড়াতে সাহায্য করবে ।