দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল এবার ফ্রিজের কম্প্রেসরের গ্যারান্টি সুবিধা ১২ বছরে উন্নীত করলো। আগে এই গ্যারান্টির মেয়াদ ছিলো ১০ বছর। ফ্রিজে ব্যবহৃত কম্প্রেসরের সর্বোাচ্চ গুণগতমানের প্রতি আত্ববিশ্বাসে গ্যারান্টির মেয়াদ আরো দুই বছর বৃদ্ধি করলো মার্সেল কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের জন্য বর্ধিত এই গ্যারান্টি সুবিধাটি জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকেই সারা দেশে কার্যকর করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীতে মার্সেল কর্পোরেট অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফ্রিজ কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধার ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা। সেসময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, মার্সেল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টে সিস্টেমের প্রধান মুজাহিদুল ইসলাম, লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মাসুদ হোসেন চৌধূরী, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ইভা রিজওয়ানা বলেন, বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার সফল বাস্তবায়নের ফলেই ফ্রিজ কম্প্রেসরে এই দীর্ঘস্থায়ী গ্যারান্টি দেয়া সম্ভব হয়েছে। প্রথমত, নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজে কম্প্রেসর ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরি। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তি ও মানোন্নয়নে কম্প্রেসর আরএনডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়মিত গবেষণা। তৃতীয়ত, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে উৎপাদন পর্যায়ে মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও কম্প্রেসারের উচ্চমানের প্রতি আত্ম-বিশ্বাস। সর্বোপরি এসব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এবং নতুন বছরে তাদেরকে বাড়তি কিছু উপহার দিতেই ফ্রিজ কম্প্রেসরে গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীরা জানান, ফ্রিজের প্রাণ বলা যায় কম্প্রেসরকে। এর মান যত উন্নত হবে, ফ্রিজের স্থায়ীত্বও তত বেশি হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে মার্সেল ফ্রিজে খুবই উন্নত মানের কম্প্রেসর ব্যবহার হচ্ছে। কম্প্রেসারের অপারেশন যত নিখুঁত এবং সুক্ষ (এ্যাকুইরেট) হবে এটা তত ভালো সার্ভিস দেবে। আর তাই কম্প্রেসারের এ্যাকুইরেসি এবং কুলিং সিস্টেম-এ আরো বেশি পারফেকশন নিয়ে এসেছে মার্সেল। এছাড়াও, কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে এইচএফসিমুক্ত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত নাসদাত টেস্টিং ল্যাব থেকে প্রতিটি ফ্রিজ পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।