শাওমির ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মি-ফ্যানের অংশগ্রহনে বাংলাদেশে হয়ে গেল মি-ফ্যান ফেস্টিভাল ২০১৮। এর অফিসিয়াল নাম ছিল ‘কেক উইথ মি’। বাংলাদেশে শাওমির ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফিসে এই ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
শনিবার (৭ এপ্রিল ) বিকেলে কেক কেটে ইভেন্টটির উদ্বোধন করেন সোলার ইলেক্ট্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ডিএম মজিবর রহমান এবং প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন। এ সময় ‘হ্যাপি বার্থডে শাওমি, উই লাভ শাওমি’ স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো ভবন।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মি-ফ্যানরাসহ মি বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইভেন্টে অংশ নেন। ফেস্টিভাল উপলক্ষে দুপুর থেকেই শাওমি ফ্যানরা ভেন্যুতে উপস্থিত হতে শুরু করেন। বিকেলে মি-ফ্যানদের মিলনমেলায় পরিণত হয় সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিঃ এর হেড অফিস ভবন।
মি-ফ্যানদের জন্য শাওমির সব ধরনের পণ্যের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে এই ইভেন্টে প্রায় ৫০টি শাওমি এক্সেসরিজ এবং ১০টিরও বেশি মডেলের স্মার্টফোন প্রদর্শন ও ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এছাড়া মি-ফ্যান ফেস্টিভালের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মজার সব গেমস। এসব গেমসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ডিসকাউন্ট ডার্ট বোর্ড, পুশ আপ, পাঞ্জা লড়াই এবং কুইজ। সকল গেমস ও কুইজে অংশগ্রহণ করে মি-ফ্যানরা প্রচুর সংখ্যক শাওমি’র আকর্ষণীয় গ্যাজেটস এবং এক্সেসরিজ জিতে নিয়েছেন।
ফ্যান ফেস্টিভাল উপলক্ষে শাওমির প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন বলেন, শাওমির মূল শক্তি হলো এর ফ্যানরা। এ কারণে তাদের নিয়ে আয়োজনটি করেছি আমরা। আশা করছি সামনে প্রতিটি জেলায় মি-ফ্যানদের অংশগ্রহণে আরও বড় ইভেন্টের আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড শাওমি ৮ বছর পূর্ণ করেছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে শাওমি। বাংলাদেশেও তরুণ প্রজন্মের কাছে শাওমি চাহিদার অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে। আশা করছি এ বছরটা আমাদের দারুণ যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ফোর-জি সাপোর্টেড দারুণ সব স্মার্টফোন পাবেন ব্যবহারকারীরা। গ্রাহকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, বাজারে যাচাই করে বৈধ পথে আসা শাওমি’র অথোরাইজড স্মার্টফোন কিনুন। এতে সর্বোচ্চ সেবা পাবেন আপনারা। আমাদের বিক্রয়োত্তর সেবা ক্রেতাদের জন্য আরও সহজ করার উদ্দেশ্যে এবছর দেশব্যাপী ২০ টি সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা আছে।