ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি শনাক্ত করতে নতুন মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি বানিয়েছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি’র একদল গবেষক। নতুন এই মেশিন লার্নিং কৌশলের নাম বলা হয়েছে ‘ডিপ ফিচার সিনথেসিস’ (ডিএফএস)।বড় একটি ব্যাংকের ১৮ লাখ লেনদেনের ডেটাসেট নিয়ে পরীক্ষার সময় প্রচলিত মডেলের চেয়ে ৫৪ শতাংশ বেশি ভুয়া লেনদেন শনাক্ত করেছে নতুন এই প্রযুক্তি– খবর আইএএনএস-এর।
নতুন এই ব্যবস্থা যে কোনো ডেটা থেকে বিস্তারিত ফিচারগুলো আলাদা করে ভুয়া লেনদেন শনাক্ত করে। এতে ব্যাংকের অর্থ বাঁচানোর পাশাপাশি গ্রাহকের হতাশা কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এমআইটি’র প্রধান গবেষক কালইয়ান ভির্মাচানেনি বলেন, “এই খাতের বড় চ্যালেঞ্জ হলো ইতিবাচক মিথ্যা।” “আমরা বলতে পারি, ফিচার প্রকৌশল ও ইতিবাচক মিথ্যার মধ্যে সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এই মেশিন লার্নিং মডেলগুলোর নির্ভুলতা বাড়াতে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,” যোগ করেন ভির্মাচানেনি।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান কনফারেন্স ফর মেশিন লার্নিংয়ে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নতুন এই মেশিন লার্নিং কৌশলে আগের লেনদেনের ধরন বিবেচনা করা হয় এবং কার্ডগুলোর সঙ্গে জালিয়াতির তথ্য রয়েছে কিনা তা যাচাই করে। এরপর এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবগুলো পরিবর্তনশীল রাশি একত্রিত করে প্রতিটি লেনদেন বিস্তৃতভাবে পর্যালোচনা করে।
যখন গ্রাহক তার কার্ড সোয়াইপ করেন তখন মডেল এটি পর্যালোচনা করে এবং জালিয়াতি শনাক্ত করতে পারলে লেনদেন আটকে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি লেনদেনের জন্য ২০০টির বেশি বিস্তারিত ফিচার বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কেনাকাটার সময় গ্রাহক সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা এবং ওই দিনে ওই বিক্রেতার কাছে তিনি কতো সময় ছিলেন এমন বিষয়গুলো।