তথ্য প্রযুক্তিতে সারা বিশ্বে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমিয়ে টেকসই লক্ষ্য মাত্রা বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বে প্রথম বার বাংলাদেশ থেকে ১০ থেকে ২৫ বছরের মেয়েদের নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি রোব টেক লিডারশীপ নামক প্রোগ্রামের আয়োজন করছে বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রবোটিক্স এবং ভিশন ২০২০ সাউথ এশিয়ান প্রকল্প। রাজধানী ঢাকার ধানমlন্ডির ২৭ নম্বর রোডের ইএমকে সেন্টার এবং ইএমকে মেকারল্যাবের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে দেশের বিভিন্ন সরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পাশাপাশি নামকরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাবী ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ কার্যকলাপ প্রকল্পের পার্টি প্রধান বিদ্যুৎ মহলদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিকস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. লাফিফা জামালসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তারা।
সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন তরুণ প্রযুক্তিবিদ ভিশন ২০২০ সাউথ এশিয়ান প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশর অ্যাডভান্স রোবটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জিমি মজুমদার ।এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন অ্যাডভান্স রোবটিক্সে সিকিউরিটি সিস্টেম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদ মজুমদার সহ আন্তর্জাতিক পর্যায় যুক্ত হয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ফারহান ফেরদৌস (জাপান) , তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা টমাস রায় (জাপান) এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে টেলিকমিউনিকেশন এবং ফিমেল টেক লিডার বিষয়ক উপদেষ্টা তাহসিন সামিরা দেলোয়ারসহ বিভিন্ন সেক্টরে স্বনামধন্য গবেষক, প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্যোগতারা।
এই উদ্যোগের ব্যাপারে জিমি মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলেরা ৬৪ জন মেয়েকে আমরা দক্ষ টেক লিডার হিসাবে গড়ে তুলেতে চাই যারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় শতশত টেক মেম্বারকে প্রশিক্ষিত করবে এবং উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলবে। ভবিষ্যতে এই টেক লিডার এবং টেক মেম্বারাই অ্যাডভান্স তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বর কাছে তুলে ধরবে এবং নারী পুরুষের বৈষম্য কমিয়ে নিয়ে আসবে বলে তারা আশা বাদী।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম বলেন আগামীদিনের পৃথিবী রোবটিক্স এবং কৃত্তিম বুদ্দিমত্তা নির্ভর। তাই নারী পরুষ সমানভাবে অংশগ্রহণ না করলে কোন দেশ এই গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে নিজের অস্তিত্ব সমান ভাবে রক্ষা করতে পারবে না। প্রযুক্তিতে নারীরা সর্বদাই পিছিয়ে আছে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশর স্বপ্ন পূরণের জন্য মেয়েদের নিয়ে রোবটিক্স এবং অ্যাডভান্স টেকনোলজি নিয়ে এই নুতনধর্মী যুগপযোগী এই লিডারশীপ প্রোগ্রাম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী বলেন , বাংলাদেশে থেকে মেয়েদের নিয়ে এই প্রথম যে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে তা সত্যিই আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশ দরদী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরনের একটি ধাপ বলে আমি মনে করি । এই ধরনের প্রোগ্রাম ভবিষ্যৎে ও যেন সফল ভাবে সম্পন্ন হয় এবং সকলে জেলা থেকে মেয়েরা এ গিয়ে আসে ।
এ ছাড়া প্রত্যেক বক্তারা সকলে সকল সেক্টরে মেয়েদের অবদানের জন্য বিভিন্ন ধরেনের উপদেশ দেন এবং বক্তব্য শেষ বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রবোটিক্স এবং তাদের অ্যাডভান্স ই-টেক স্কুলের বিভিন্ন টীমের তৈরি রোবট , ড্রণ , হিঊম্যান রোবট সহ বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। তাছাড়াও, ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ কার্যকলাপ প্রকল্পের পার্টি প্রধান বিদ্যুৎ কুমার মহলদার একার্ড প্রোযেক্ট এর সম্প্রসারণ ও প্রচার করা জন্য, ভিশন ২০২০ সাউথ এশিয়াকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। যেটি নির্বাহী বোর্ড এর সদস্যারা গ্রহন করেন।
এই সেমিনারের অংশগ্রহণকারীদের মাঝ থেকে কিছু নির্বাচিত সদস্যকে বিনামূল্যে বাংলাদেশর অ্যাডভান্স রোবটিক্সের দক্ষ গবেষক, প্রশিক্ষক এবং মেন্টর দ্বারা রোবটিক্স এবং অ্যাডভান্স প্রযুক্তি বিষয়ক কোর্স করার সুযোগ করে দেবেন। এছাড়া ভিশন ২০২০ সাউথ এশিয়ান প্রকল্পের উদ্যোগে রোবোটিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তির নানান খাতে উদ্যোক্তা হওয়ার উপযুক্ত সুযোগ পাবেন এবং সদস্যরা বিনামূল্যে ক্যাম্পাস টেক অ্যাম্বাসেডর হওয়ার সুযোগ পাবেন। এই ধরনের প্রোগ্রাম তারা সারা বিশ্বে চালু করতে চায় এবং জাতিসংঘের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন তারা। সীমিত আসনের কারণে বাছাই পর্বের মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হবে।