বর্তমানে ২৫০ কোটিরও বেশি ডিভাইসে চলছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। গুগলের মতে, ব্যবহারকারীর সংখ্যা এত বেশি হওয়ায় সাইবার অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গুগল প্লেস্টোর। ক্ষতিকর অ্যাপের মধ্যে লুকানো ম্যালওয়্যার বা গোপন কোডের সাহায্যে ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
গুগলের জোট বাঁধার পরদিনই গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রোর পক্ষ থেকে প্লেস্টোরে কয়েকটি গেম ও ক্যামেরাসংশ্লিষ্ট বিপজ্জনক অ্যাপের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এসব অ্যাপে থাকা অ্যাডওয়্যার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে। গুগলের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব অ্যাপ সরিয়ে ফেলার আগে ৩০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। আপনার ফোনে থাকলে এসব অ্যাপ দ্রুত সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যাপগুলো হচ্ছে ট্রু লাভ ক্যালকুলেটর, ট্রিপি ইফেক্ট: ফটো অ্যান্ড ক্যামেরা ফিল্টার, ট্যাটু মেকার, ট্যাটু এডিটর, স্মোক ইফেক্ট, স্মোক ইফেক্ট আর্ট, স্লাইস মাস্টার, স্কাল ফেস: ফটো অ্যান্ড ক্যামেরা ইফেক্টস, শুট ইট, রানিং ডাইনোসর, রুলিং দ্য ডিফারেন্স, রিভার্স ভিডিও এডিটিং, পিক্সেল ইফেক্ট: ফটো এডিটর অ্যান্ড ওভারলে, ফটো স্মোক ইফেক্ট, ফটো ওভারলেইস, ফটো ব্লেন্ডার, নিওন লাইট ফটো এডিটর: ম্যাজিক ইফেক্ট, মিউজিক্যাল রোলিং রোড, মিউজিক্যাল বলস, মিউজিক ভিডিও মেকার, মোটরসাইকেল বাইক রেস, মাস্টার স্ক্রিন রেকর্ডার, ম্যাজিক ভিডিও এডিটিং, ম্যাজিক সুপার পাওয়ার, ম্যাজিক পেনসিল স্কেচ, ম্যাগাজিন ফটো এডিটর, ম্যাগাজিন কভার মেকার, ম্যাগাজিন কভার স্টুডিও, লাভ টেস্ট, লাভ পেয়ার, হাউস পেইন্টিং, হাউস ড্রয়িং কালার পেইন্ট, ঘোস্ট প্র্যাংক, গ্যালাক্সি ওভারলে ব্লেন্ডার, ফানি ফেক, ফ্লো পয়েন্টস, ডাইনামিক ব্যাকগ্রাউন্ড, কাট পারফেক্টলি, কালার স্প্ল্যাশ ফটো ইফেক্ট, ক্লাউন মাস্ক, ক্যাট রিয়েল হেয়ারকাট, বুলেট মাস্টার, বাবল ইফেক্ট, ব্লার ইমেজ ফটো, বিউটিফুল হাউস পেইন্ট, বলস আউট পাজল, বলস এসকেপ।