মাথার ওপর দিয়ে এলিভেটেড নেটওয়ার্ক সিস্টেমে চলবে গাড়ি। একটি নির্দিষ্ট ট্র্যাক ব্যবহার করে একের পর এক গাড়ি ছেড়ে যাবে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এই গাড়ি ডেকে তাতে উঠে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। বিবিসির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাস্তার যানজটে অতিষ্ঠ জীবন। যানজট দূর করার নানা উপায় নিয়ে কাজ চলছে। এ রকম একটি পদ্ধতি হচ্ছে স্কাইট্র্যান সিস্টেম। এটি হোভার কারের এলিভেটেড নেটওয়ার্ক। (উঁচু কোনো কাঠামোর নেটওয়ার্কে স্থাপিত ঝুলন্ত গাড়ির পদ্ধতি)। ইসরায়েলের তেল আবিবে তৈরি হচ্ছে এই নেটওয়ার্ক।
স্কাইট্র্যান কর্তৃপক্ষ তেল আবিবের ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ড্রাস্ট্রিজের (আইএআই) ক্যাম্পাসে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কের মতো করে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০০ মিটার লুপ তৈরি করা হবে। এটি মূলত চৌম্বক পদ্ধতির একটি নেটওয়ার্ক। দুই যাত্রী বহনে সক্ষম গাড়ি এলিভেটেড ম্যাগনেটিক ট্র্যাকে ছাড়া হবে।
স্কাইট্র্যান কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এলিভেটেড হোভার কার প্রযুক্তিটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরুর আগে পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিটি সফল হবে। এই পদ্ধতিতে স্মার্টফোন ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট স্টেশনে গাড়ির জন্য ফরমায়েশ করা যাবে এবং সেই স্টেশন গাড়িতে ওঠার পর নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত পৌঁছে দেবে এই হোভার কার। গাড়ির গতি হবে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। তবে বাণিজ্যিকভাবে এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা হলে গাড়ির গতি আরও বেশি হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্কাইট্র্যান প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় রয়েছে। ইসরায়েলের প্রকল্পটি সফল হলে অন্যান্য দেশেও এর বাণিজ্যিকভাবে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
স্মার্ট সিটি বিশেষজ্ঞ জন ডিগনান মনে করেন, এই পদ্ধতিটি বর্তমান অবকাঠামো ও স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ব্যবস্থার হাইব্রিড পদ্ধতি। ট্রেন লাইন স্থাপনের চেয়ে এর খরচ কম হবে।