সিটিও ফোরাম বাংলাদেশে আয়োজনে দেশে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনের সিটিও টেক সামিট ২০১৮। ১১ মে শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডি ক্লাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগনকে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে সম্পৃক্ত করনে আইসিটি ডিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করেছে। এইগুলো কার্যকর হলে দেশে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে সকলের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা ইতিবাচক, তবে এই ক্ষেত্রে সাইবার ঝুকি বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে গনসচেতনতা কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার ২০৪১ সালের স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে যে কাজ করে যাচ্ছে এবং এটি একা সম্ভব নয়। এখানে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। দেশের তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে সিটিও ফোরামের এই আয়োজন তারই ইঙ্গিত বহন করে।
বক্ত্যব্যে বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সকলে অংশগ্রহণ অনিবার্য যেখানে এই ধরনের আয়োজন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আরও বক্তব্য রাখেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার। বক্তব্যে তিনি বলেন দেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতে কাজ করা কর্মকর্তাদেরকে একটি কমন প্ল্যাটফরমে আনার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। পারস্পরিক সহযোগীতা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা যেন আরও দক্ষতার সাথে সাইবার ঝুকি মোকাবেলা করতে সেটাই এই আয়োজনের লক্ষ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিটিও টেক সামিটের কনভেনর তাহের আহমেদ চৌধুরী ও মূল বক্তব্য প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আইটি ম্যানেজার মো. আরফে এলাহি মানিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মূলত দেশের সিটিওদের মধ্যকার সর্ম্পক আরও জোরদার করাই সিটিও টেক সামিট-২০১৮ এর অন্যতম লক্ষ্য। উক্ত সামিটটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লষ্টি গণ্যমান্য এবং নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিগণকে একত্রিত করে দেশব্যাপি সকল তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের কমিনিউটি উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে যে ইমার্জিং টেকনোলজি নিয়ে কথা হচ্ছে সে প্রযুক্তির সফল ব্যবহার কিভাবে করা যায় সেটাই হলো গুরত্বপূর্ন। এ ধরনের আয়োজন এই সকল বিষয়গুলোর উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে অনুষ্ঠানের বক্তারা আরও মনে করেন।
আয়োজনের দ্বিতীয় দিন ১২মে শনিবার দিনব্যাপী রাজধানীর সোবাহানবাগে অবস্থিত ড্যাফোডিল টাওয়ারের মিলনায়তন ৭১ এ দেশের স্বনামধন্য সিটিওদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে সাইবার হুমকি, সাইবার নিরাপত্তা, ব্লকচেইন, বিটকয়েন, ইকর্মাস এবং ডিজিটাল পেমেন্ট বিষয়ক ৮টি সেমিনার ও কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্থানীয় প্রায় ৪০ জন স্পীকার অংশগ্রহন করবেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশে দেশের প্রায় প্রতিটি খাতেই প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। আর এই কাজটিকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা র্অথাৎ ব্যবসায়িক কাজে প্রযুক্তি প্রয়োগ ব্যবসায়িক উন্নয়ন বা সক্ষমতা বাড়াবার কাজটির পূর্ণ তদারকিতে থাকেন একজন সিটিও। একজন সিটিওকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তিতে নিজেদের অভ্যস্থতা, সাইবার জগতের সুবিধা এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিটিওদের নিজেদের অভিজ্ঞতার আদান প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি আর এর জন্য প্রয়োজন একটি প্লাটর্ফম। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে এই প্লাটর্ফম তৈরির কাজটিই করে আসছে সফলতার সঙ্গে।