একই ছাদের নীচে মুদ্রণ শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, কাগজ , কালি, স্পেয়ার্স ও নানাবিধ যন্ত্রপাতি নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর ২০১৯ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী “প্রিন্টেক বাংলাদেশ ২০১৯।” রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির (পিআইএবি) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে সকল প্রকার প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং শিল্প সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক পণ্য ও প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে।
একই সাথে আয়োজিত “স্ক্রিনটেক্স বাংলাদেশ ২০১৯” এ স্ক্রিন, ডিজিটাল, সাবিøমেশন ও টেক্সটাইল প্রিন্টিং এর উপর প্রি-প্রেস, ইন-প্রেস, পোস্ট প্রেস, ফিনিশিং, কনভার্টিং, সাইনেজ, স্ক্রিন, করুগেশন, কাগজ, প্যাকেজিং, সফটওয়্যার, কালি, মেশিন স্পেয়ার্স, কেমিক্যাল ও প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে।
আজ ৭ অক্টোবর, ২০১৯ (সোমবার) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংস্থা আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং পিআইএবি এসব তথ্য জানায়। ইন্ডিয়ান প্রিন্টিং প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি মেনুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (আইপিএএমএ) এবং স্ক্রিন প্রিন্টারর্স এসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসপিআইএ) থেকে প্রায় ৬০ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে এ প্রদর্শনীতে। সেই সাথে চীন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও অংশগ্রহণ করছে। স্থানীয় শিল্পের দোরগোড়ায় আর্ন্তজাতিক অভিনব ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরতে এবং বাংলাদেশের এ শিল্পের সাথে অন্যান্য দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতেই মূলত এই প্রচেষ্টা বলে জানায় আয়োজকরা।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত জানান, “বর্তমানে মুদ্রণ শিল্প বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এ শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা প্রসারে এ ধরনের প্রদর্শনী এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০০০ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে প্রায় ২০০০ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচ্য। প্রিন্টেক বাংলাদেশের উদ্দেশ্যই এ শিল্প সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে আর্ন্তজাতিক মাণদন্ডে উন্নীত করা।”
আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেড’এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূইঁয়া বলেন, “আমরা প্রথমবারের মতো এ শিল্পের আর্ন্তজাতিক প্রর্দশনীর আয়োজন করতে গিয়ে যে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি তা সত্যিই ইতিবাচক। মূলত স্থানীয় শিল্পের কাছে বিশে^র সর্বাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা। আমরা পিএইচডি চেম্বার অব কর্মাস এবং আইপিএএমএ’র সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা এবং তাদের অংশগ্রহণে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতেও তাদের এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। একই সাথে বাংলাদেশ “এশিয়া প্রিন্টের” আয়োজন করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে সবার জন্য প্রদর্শনীটি ১২ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।