বিশ্বকাপ শুরু থেকেই জমে গেল। উদ্বোধনী দিনেই ৫-০ গোল দেখল ফুটবলপ্রেমীরা। প্রশ্ন থেকে গেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কি করবে এবার। শুরু থেকে মনে হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ হবে অনেকটাই কম্পিউটার গেমের মতো গোলের খেলা। নেইমার-মেসির দিকে তাকিয়ে দুনিয়া।
‘এ’ গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে চেরিশভের জোড়া গোলে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আয়োজকরা। রণ কৌশলে আক্রমণাত্মক ফরমেশন বেছে নেয় রাশিয়া। সৌদি ফরমেশন ছিল ৪-৫-১। রাশিয়া ছিল আক্রমণাত্মক ফরমেশনে ৪-২-৩-১।
লুঝনিকি স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে বিশ্বকাপের প্রথম গোল পায় রাশিয়া। বিশ্বকাপের প্রথম গোল আসে ১২ মিনিটে। রাশিয়ান মিডফিল্ডার ইউরি গাজিনিস্কির অসাধারণ হেডে প্রথমার্ধে তারা এগিয়ে যায়। এই গোলে আরেকটি রেকর্ডও সঙ্গী হলো রাশিয়ান এই মিডফিল্ডারের। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনও ফুটবলার প্রথম শটেই অনটার্গেটে জালে বল জড়ালেন। সবশেষটি করেছিলেন জার্মানির ফিলিপ লাম।
রাশিয়া ১৪ মিনিটে আবারও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল। যদিও জালে বল জড়ায়নি সেই বল। জালে জড়ালে ভিএআর-এর দ্বারস্থ হতেই হতো। কারণ মারিও ফের্নাদেন্স ছিলেন অফসাইড পজিশনে।
২১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে সুর্বণ সুযোগ পেয়েছিল সৌদি। মোহাম্মদ আল-শাহলাই স্কোর করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন, যদিও তার ওপর পাল্টা চাপ প্রয়োগ করেন রাশিয়ান ডিফেন্ডার ইলা কুতেপোভ। তাতে বল চলে যায় পোস্টের বাইরে।
২৩ মিনিটে বিশাল ধাক্কা হয়ে আসে রাশিয়ান মিডফিল্ডার আলান জাগোভের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। তাতে দ্রুত মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে। বদলি হয়ে মাঠে নামেন আরেক মিডফিল্ডার দেনিস চেরিশেভ। এই চেরিশভই রাশিয়াকে পাইয়ে দেন দ্বিতীয় গোল। ৪৩ মিনিটে সৌদি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে বল চ্যালেঞ্জ করেছিল। জটলা থেকে বল কাটিয়ে সৌদি গোলকিপার আবদুল্লাহ আল-মাইউফকে বোকা বানিয়ে দর্শনীয় এক গোল করে রাশিয়াকে ২-০ লিড এনে দেন চেরিশেভ।
এর আগে ৩৬ মিনিটে সৌদি আরবের বিপজ্জনক এলাকায় ওসামা হাউসায়ির ট্যাকেলের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার আলেক্সান্দার গোলোভিন। তিনি রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন করলেও তা বাতিল করে দেন রেফারি।
প্রথমার্ধে দুটি গোল হলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী মনোভাবে ছিল রাশিয়ানরা। যদিও গোলমুখ খুলতে দেরি হচ্ছিল। বিপরীত ধারায় সৌদিও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণে তাদের অসহায়ত্ব বার বার চোখে ধরা পড়ছিল।
৭০ মিনিটে ফেয়েদোর স্মোলোভের বদলি হয়ে নামেন আরেক ফরোয়ার্ড জিউবা। নেমেই পাল্টে দেন স্কোর লাইনের চেহারা। দীর্ঘক্ষণ আক্রমণ প্রতিআক্রমণের পর মিডফিল্ডার আলেক্সান্দার গোলোভিনের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে গোল করেন ফরোয়ার্ড আরতিম জিউবা।
শেষ দিকে ইনজুরি টাইমে আরও খুনে মেজাজে ছিল স্তানিসলাভ চেরচিয়েসোভের শিষ্যরা। স্কোর লাইন হয় ৪-০। ৯০+১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান চেরিশভ। ৯০+৪ মিনিটে এই অতিরিক্ত সময়ে আগুণে ফর্মে থাকা রাশিয়ার হয়ে আরেকটি গোল করেন আলেক্সান্দার গোলোভিন। বাঁকানো ফ্রি কিক থেকে দর্শনীয় এক গোল করেন এই মিডফিল্ডার।
previous post