জ্যাক ডোর্সির হাত ধরেই তৈরি হয়েছে সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিংয়ের ওয়েবসাইট টুইটার।প্রধান নির্বাহী হিসেবে নেতৃত্বও দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অথচ এমন একজন মানুষের কোনো কম্পিউটার নেই। স্মার্টফোনেই সারেন সব কাজ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের ফাঁকে এ কথা বলেন তিনি।
মঞ্চে সে সময় সঞ্চালক ছিলেন নাইন নিউজের সংবাদ উপস্থাপক ডেভ নাইট। জ্যাককে তিনি আরও প্রশ্ন করেছিলেন, অনলাইনে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করেন। জবাবে জ্যাক বলেন, ‘আমি আমার ফোনের নোটিফিকেশন সব সময় বন্ধ করে রাখি। কারণ, একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ আমি কখনোই ব্যবহার করি না। হুড়মুড় করে সবকিছু একবারে আসার চেয়ে একক কোনো বিষয়েই আমি মনোনিবেশ করতে চাই।’
জ্যাক তাঁর স্মার্টফোনে প্রচলিত কি-বোর্ডের পরিবর্তে ভয়েস টাইপিং বা কথা বলে লেখার যে সুবিধা, তা ব্যবহার করেন। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটারবিহীন জীবন জ্যাক ডোর্সির কাছে নিরাপত্তার চেয়ে সময়মতো কাজ করা এবং কাজ ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে বেশি কাজে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, অনেক কিছুই আমাদের মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এ কাজ সবচেয়ে বেশি করছে আমাদের সঙ্গে থাকা ডিভাইসগুলো। তাই আমি অনেক অভ্যাস বদলে ফেলেছি। সকালে কাজে যাবার আগে কিংবা পথে আমার ফোন দেখি না। আর যখন আমি ফোনে কাজ করি তখন আমি ফোনের সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখি।’ এতে ক্রমাগত আসা নোটিফিকেশন দেখতে গিয়ে তাঁর সময় নষ্ট হয় না।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটার সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। টুইটার বিশ্বের দ্বিতীয় বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সূত্র: ম্যাশেবল