বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবার-এর কার্যক্রম চলছে দুই বছরের বেশি সময় ধরে। উবারের মাধ্যমে সহজে আয় করতে পারছে গাড়ি ও বাইকচালকেরা।
উবার তার চালকদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি, চালকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ দিতে এবার ‘জেনারেশন নেক্সট’ উদ্যোগ নিয়েছে। আর এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন শুরু হলো ‘উবার মোটো’র আলোচিত চালক শাহনাজ আক্তারের পরিবারকে দিয়ে। শাহনাজ আক্তারের দুই মেয়ের জন্য এক বছরের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে উবার।
উবারের বাইক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ‘উবার মোটো’র একজন চালক শাহনাজ আক্তার, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় এসেছেন তার সাহসিকতা ও কাজের প্রতি তার আনুগত্যের কারণে। উবারকে তার আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়ে শাহনাজ তার দুই মেয়েসহ তার পরিবারের দেখাশোনা করেন। শাহনাজ স্বপ্ন দেখেন তার দুই মেয়েকে স্বাধীন ও স্বাবলম্বী করে বড় করে তোলার।
অফিসিয়াল ব্লগ পোস্টে উবার বাংলাদেশ জানিয়েছে, ‘উবার সবসময়ই ড্রাইভার-পার্টনারদের আরো উন্নত জীবন দেয়ার জন্য সচেষ্ট। আমাদের লক্ষ, উবার এর মাধ্যমে আয়ের পাশাপাশি ড্রাইভার-পার্টনাররা যেন তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য আরো নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন। এই লক্ষের প্রতি আরেক ধাপ এগিয়ে যেতেই জেনারেশন নেক্সট নামে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছে উবার। এই কার্যক্রমের আওতায় ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসার পাশাপাশি নির্বাচিত ড্রাইভার-পার্টনারদের পরিবারের জন্য স্কুলে বৃত্তির ব্যবস্থা করবে উবার।’
‘জেনারেশন নেক্সট’ প্রকল্পের আওতায় শাহনাজের নবম ও প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া দুই মেয়ের জন্য এক বছরের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে উবার।
উবারের এই উদ্যোগের বিষয়ে শাহনাজ বলেন, ‘এই উদ্যোগ আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করবে। উবার কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে মিরপুর বাংলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আরবান প্রিপারটরি স্কুল এর সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। আমার দুই মেয়ে এই দুই স্কুলে পড়ছে এখন। যেহেতু তাদের স্কুলের দায়ভার উবার নিয়েছে, তাই এই অর্থটুকু আমি আমার মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য জমাতে পারবো। একই সঙ্গে তাদের পড়াশুনাটাও নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবো।’
শাহনাজ আরো বলেন, ‘ড্রাইভার-পার্টনারদের প্রতি উবার অনেক যত্নশীল। আমি খুবই আনন্দিত যে এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি আমাকে দিয়েই শুরু করা হয়েছে উবার এর জেনারেশন নেক্সট প্রোগ্রাম।’