দেশের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট পায় না সেখানে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়েছে । রোহিঙ্গাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আমরা বিপক্ষে নই। তবে যে প্রক্রিয়ায় ও যুক্তি তুলে ধরে ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে আমরা তা মানতে নারাজ। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতের গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা এ সংগঠন এ কথা জানায় ।
বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সর্বপ্রথম যখন ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল সেই সময় সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম স্বয়ং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র টেলিটক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বুথ থেকে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কি কারণে তা বন্ধ করা হলো তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এরপর রোহিঙ্গারা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে জনসমাগম করলো তখন বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হল।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “মায়ানমারের নেটওয়ার্ক যদি রোহিঙ্গারা ব্যবহার করতে পারে তবে আমাদের টা করলে অসুবিধা কি? তাছাড়া আন্তর্জাতিক মহলের চাপও রয়েছে।”
আমরা বলতে চাই নেটওয়ার্ক বন্ধ করার পর বিটিআরসি’র একটি কমিটি উখিয়া ক্যাম্প পরিদর্শন করে। সেই সময় আমরাও বলেছিলাম মায়ানমারের নেটওয়ার্ক দেশের অভ্যন্তরে ১০ কি: মি: পর্যন্ত বিস্তৃত। নিয়ন্ত্রক কমিশন আইন অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে বৈঠক করে মায়ানমারের নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে। কিন্তু তারা সে উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। বিটিআরসি এ দায়ভার এড়াতে পারে না’, যোগ করেন তিনি।
আমাদের দেশের অভ্যন্তরে বিটিআরসি মাঝে মাঝে কিছু এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে পারলেও মায়ানমারের নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে না পারার কারণ কি? দেশের শিক্ষার্থীরা দুর্বল নেটওয়ার্ক ও অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক না পাওয়ার কারণে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালাতে পারছে না। অথচ উখিয়া ক্যাম্প এলাকায় দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক পাওয়ার কারণ কি? রোহিঙ্গারা কি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অপারেটরদের সিম ব্যবহার করছে? দেশের বৈধ নাগরিকদের যেখানে বায়োমেট্রিক ছাড়া সিম ব্যবহার করা যায় না, সেখানে রোহিঙ্গারা অনায়াসেই আমাদের সিম ব্যবহার করছে। এটি আইন বহির্ভূত একটি কাজ। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।