জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি সেবা হলো গুগল ড্রাইভ। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন তাদের অনেকেই হয়তো জানেন আবার অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে, গুগল ড্রাইভ কি এবং কিভাবে এখানে প্রয়োজনীয় ফাইল সংরক্ষণ করতে হয়। গুগল ড্রাইভে আমরা যেকোনো ধরনের ফাইল রাখতে পারি পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ব্যাবহার করার জন্য এবং বেশ কিছু ধরনের ফাইল তৈরি এবং সম্পাদনা করতে পারি।
গুগল ড্রাইভ হচ্ছে গুগলের ফ্রী স্পেস সার্ভিস যার মধ্যে আপনি আপনার সকল প্রয়োজনীয় ফাইল সমূহ, প্রেজেন্টেশনস, ছবি, ভিডিও ক্লিপসহ আরো অনেক কিছু নিরাপদে সংরক্ষন করতে পারবেন এবং অন্যদের শেয়ার করতে পারবেন। প্রয়োজনে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন- বিয়োজন করে পুনরায় সংরক্ষন করতে পারবেন। গুগল ড্রাইভ আপনার একটি নিরাপদ ও একান্ত ব্যক্তিগত ফাইল কেবিনেট হিসাবে কাজ করবে। আপনি বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, সেখানে বসেই আপনি একসেস করতে পারবেন যেকোন কম্পিউটার, মোবাইল, আইফোন সহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১.কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলেও ফাইল নষ্ট কিংবা হারাবে না।
২.ছবি, ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, পিডিএফ, অডিও, ভিডিওসহ ছোট-বড় সব ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করা যায়।
৩. মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেটসহ যেকোনো যন্ত্র থেকে ব্যবহার করা যায়।
অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই
কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে গুগল ড্রাইভের অ্যাপ ইনস্টল করলে সংরক্ষিত ফাইলগুলো কম্পিউটার বা মোবাইলের নির্ধারিত ফোল্ডারে জমা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইন বা অফলাইনে থাকা অবস্থায় ফাইল খোলা ও হালনাগাদ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-চালিত যেকোনো যন্ত্র ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের যেকোনো কম্পিউটারের জন্য অ্যাপ পাওয়া যায়।
যেকোনো স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়
আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, ব্যবহৃত যন্ত্র থেকে জিমেইলে ঢুকলেই গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা যাবে। সেখানে আপনার সংরক্ষিত সবকিছুই পাওয়া যাবে। এতে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সব সময় বহন করতে হবে না এবং হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
নতুন ফাইল ও ফোল্ডার
কম্পিউটারের মতোই গুগল ড্রাইভে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফাইল ও ফোল্ডার তৈরি করা যায়। তৈরি করা ফাইল সবার সঙ্গে শেয়ার করা যায় সহজেই। ফাইল সংরক্ষণ করা ছাড়া ও গুগল ড্রাইভের রয়েছে গুগল ডকস সুবিধা নিয়ে ফাইল তৈরি করা যায়। যেখানে দৈনন্দিন কাজের জন্য ফাইল তৈরি ও হালনাগাদ করা যায়। বহুল ব্যবহৃত ওয়ার্ড, এক্সেলসহ বেশির ভাগ অফিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে রিয়েল টাইম আপডেট অর্থাৎ একসঙ্গে সব জায়গায় এবং সব যন্ত্রে ফাইল হালনাগাদ হয়। অর্থাৎ একটি ফাইল একই সময়ে একাধিক স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়।
গুগল ফরমে সহজেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়
কাজের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের জন্য রয়েছে গুগল ফরম। ফরমে পূরণকৃত তথ্য স্প্রেডশিটে সহজেই সংগ্রহ করা যায় ও তা প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে ফলাফল তৈরি করা যায়।
সংযুক্ত ফাইল সহজেই পাঠানো যায়
জিমেইলে ২৫ মেগাবাইটের বেশি কোনো ফাইল যুক্ত করতে হলে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে হয়। আবার ড্রাইভে থাকা যেকোনো ফাইলসহ জিমেইলে সরাসরি যুক্তও করা যায়। ই-মেইলে আসা যেকোনো ফাইল ড্রাইভে সংরক্ষণ করা যায়। এ জন্য ইমেইলে যুক্ত ফাইলের ওপর মাউস নিলে ড্রাইভে সংরক্ষণ করার একটি অপশন দেখাবে।
গুগলের প্রত্যেক ব্যবহারকারী জিমেইল, গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোজ ব্যবহারের জন্য ১৫ গিগাবাইট জায়গা পেয়ে থাকে। এর বেশি প্রয়োজন হলে প্রিমিয়াম সেবা গ্রহণ করতে হবে।