বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ওয়ালটন কারখানায় এসে আমি মুগ্ধ, অভিভূত, গর্বিত। ওয়ালটন শুধু বাংলাদেশেরই বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং বিশ্বে ইতোমধ্যেই সুনাম অর্জন করেছে। খুব শিগগিরই ওয়ালটন বিশ্ববাজারে মর্যাদাশীল ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
রোববার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে নবনির্মিত ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্ট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানির জন্য সরকার নগদ সহায়তা দেবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ালটনের অনেক নাম শুনেছি, প্রশংসা শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখলাম। প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে ঘুরে যা দেখলাম, তা অকল্পনীয়। ওয়ালটনের প্রত্যেকটা ইউনিট সাজানো-গোছানো। ওয়ালটন তাদের মেধা, শ্রম দিয়ে সবকিছু তৈরি করছে। পণ্যের যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল নিজেরাই তৈরি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ওয়ালটন শুধু দেশের অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে না, বরং বৃহৎ সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও করছে। ওয়ালটন কারখানায় বর্তমানে ২৫ ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে। ৬০ ধরনের পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে।
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বাণিজ্যমন্ত্রী গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাঙ্গনে পৌঁছান। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালটন গ্রুপের ডিরেক্টর রাইসা সিগমা হিমা প্রমুখ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হুমায়ূন কবির, এস এম জাহিদ হাসান, কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, আলমগীর আলম সরকার ও ইউসুফ আলী, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট মি. কিম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর গোলাম মোর্শেদ, অপারেটিভ ডিরেক্টর শাহাজাদা সেলিম, ফিরোজ আলম, জাহিদুল ইসলাম ও শরীফ হারুনুর রশীদ, সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মহসিন মোল্লা, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মিলটন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছে বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়ালটন প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি পণ্যের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম জানান, ৬৮০ একর জায়গার ওপর রয়েছে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স। ৭০ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে চলে পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম। যেখানে নিয়োজিত আছেন প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ২০ হাজার কর্মী।
ওয়ালটন কারখানার গ্লাস ডোর প্রজেক্টে প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ১ হাজার গ্লাস ডোর ফ্রিজ তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই তা দৈনিক ৫ হাজার ইউনিটে উন্নীত হবে।