তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি গুগল ও কান্তার কর্তৃক প্রকাশিত কান্তার ব্র্যান্ডজ চাইনিজ গ্লোবাল ব্র্যান্ড বিল্ডার্স ২০২৩ এর শীর্ষ ৫০ এর মধ্যে ২১ তম অবস্থান অর্জন করেছে।
গত বছরের তুলনায় ২৯ ধাপ এগিয়েছে ব্র্যান্ডটি। বাজার সম্পর্কে ধারণা, পণ্য উদ্ভাবনে ধারাবাহিকতা, সঠিকভাবে পণ্যের উপস্থাপন ও শক্তিশালী ব্র্যান্ড ইনফ্লুয়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকার সবচেয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও বিশ্ববাজারে শক্তিশালী অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে রিয়েলমি।
বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা ও ক্রেতাদের রূপান্তরের মধ্যে প্রতিবেদনে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে উদ্ভাবন, মানোন্নয়ন ও ব্র্যান্ড কমিউনিকেশনকে মূল কৌশল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিয়েলমি এর ‘ডেয়ার টু লিপ’ দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে লিপ-ফরোয়ার্ড প্রযুক্তি ও ডিজাইনের সমন্বয়ে তরুণদের আরও ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। স্টার্টআপ হিসেবে প্রবৃদ্ধির দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছানোর পর রিয়েলমি এর ‘সিম্পলি বেটার’ কৌশল নির্ধারণ করেছে।
‘নো লিপ, নো লঞ্চ’ এই মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে রিয়েলমি এর প্রতিটি পণ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ধারাবাহিক উদ্ভাবন আর অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে রিয়েলমি বৈশ্বিকভাবে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
উদ্ভাবনের প্রতি ব্র্যান্ডের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ বছর বৈশ্বিকভাবে রিয়েলমি জিটি নিও৫ ও রিয়েলমি ১১, এই দু’টি জনপ্রিয় স্মার্টফোন নিয়ে আসে রিয়েলমি।
২০২৩ অনার অব কিংস ন্যাশনাল কম্পিটিশনের অফিসিয়াল ডিভাইস হিসেবে বাছাই করা জিটি নিও৫ সিরিজের ফোনে রয়েছে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ সুবিধা।
২৪০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধার কারণে ডিভাইসটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত চার্জের স্মার্টফোন। অপরদিকে, গত ৫ বছরে রিয়েলমির সবচেয়ে প্রত্যাশিত স্মার্টফোন হিসেবে রিয়েলমি ১১ সিরিজ নিয়ে আসা হয়।
ডিভাইসটি এর বৈপ্লবিক ইমেজিং টেকনোলোজির জন্য পরিচিতি পেয়েছে। রিয়েলমি ১১ সিরিজের ২০০ মেগাপিক্সেল সিঙ্গেল-লেন্স জুম ক্যামেরা এটিকে বাকি ডিভাইসের তুলনায় অনন্য করে তুলেছে।
কান্তার ব্র্যান্ডজ’র গ্লোবাল চেয়ার ও ক্যান্তার গ্রেটার চায়না সিইও ডোরিন ওয়্যাং বলেন, “কেবলমাত্র ক্রয়ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিলে ব্র্যান্ডের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নষ্ট হয়; পাশাপাশি, ব্র্যান্ডটি নতুন ক্রেতাদের মন জয় করতেও ব্যর্থ হয়। চীনা বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের চেয়ে অর্থপূর্ণ মানোন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় পরিবর্তনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।”
বিশ্বায়নের এই যুগে রিয়েলমি’র মতো ব্র্যান্ডগুলো অতিদ্রুত সম্প্রসারণের যুগ থেকে নিখুঁত কারিগরি আর দুর্দান্ত মান বজায় রাখার যুগে প্রবেশ করেছে।
বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে রিয়েলমি এর মূল পণ্যগুলোয় অগ্রাধিকার ঠিক করবে এবং পার্থক্য গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্র্যান্ড ভ্যালু ও ইনফ্লুয়েন্স তৈরি করবে।