চলছে শেষদিনের প্রদর্শনী। আজ রাত ৮টায় পর্দা নামবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় এই প্রদর্শনী আসরের। সকাল ১০টা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। উদ্ভাবনের প্রতি দর্শনার্থীরা আগ্রহ নিয়েই প্রদর্শনীতে ভিড় করছেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রজেক্ট, এটুআই এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রযুক্তিবান্ধব মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, নানা শ্রেণীপেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ডিজিটাল পণ্য এবং তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দেখতে। সবার জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনী তবে প্রবেশের জন্য প্রদর্শনীর ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।
প্রদশর্নীর শেষদিনে থাকছে নানা ধরনের কর্মসূচি। রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং চারটি সেমিনার। এ ছাড়াও এক্সপোর তিনদিনের সার্বিক আয়োজন নিয়ে একটি সমাপনী অনুষ্ঠান এবং অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠিত হবে।
দিনের শুরুতেই থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা চলবে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফ্রেমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা রোবট আঁকার এই দারুন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
এ ছাড়াও সারাদিনের আয়োজনে আরো ৪টি সেমিনার রয়েছে। ৪টি সেমিনারই অনুষ্ঠিত হবে উইন্ডি টাউন হল রুমে। দিনের শুরুতেই অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় রয়েছে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি রিস্ক অ্যান্ড অপরচুনিটি’ সেমিনারের শিরোনাম। ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং সমাধান নিয়ে এই সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। কি-নোট স্পিকার হিসেবে থাকবেন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রাশেদুল ইসলাম। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. সাইদ আকতার হোসেনের মডারেশনে এতে থাকবেন ৮ জন প্যানেল বক্তা।
সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হবে আরেকটি সেমিনার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে হার্ডওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা এই শিরোনামের সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ ইকোনমিক প্রসেসিং জোন অথরিটির চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। কি-নোট স্পিকার হিসেবে থাকবেন স্যামসাং মোবাইলের দেশীয় পার্টনার ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন। ডাটাবেস সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ কামালের মডারেশনে এতে থাকবেন পাঁচজন প্যানেল বক্তা।
বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রয়েছে দিনের ৩য় সেমিনার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ। গেস্ট অব অনার হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। ডেভোটেক টেকনোলজি পার্কের চেয়ারম্যান রায়হান শামসির মডারেশনে কি-নোট স্পিচ দেবেন ‘সোনালি ব্যাগ’ এর আবিষ্কারক ড. মুবারক আহমেদ খান। বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হকসহ আরো পাঁচ জন বক্তা থাকবেন প্যানেলিস্ট হিসেবে।
এ ছাড়াও দিনের শেষ সেমিনার ‘মেইড ইন বাংলাদেশ-ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উইন্ডমিল অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী সাব্বির রহমান তানিমের মডারেশনে সেমিনারে থাকবেন চারজন প্যানেলিস্ট বক্তা। এ সেমিনারটির মধ্যেই দিয়ে শেষ হবে এবারের ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯। এ ছাড়াও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ তিনদিনের সার্বিক আয়োজন নিয়ে একটি সমাপনী অনুষ্ঠান এবং অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রদর্শনীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট ‘লি’। ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর প্লাটিনাম স্পন্সর ওয়ালটন। গোল্ড স্পন্সর ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। যৌথভাবে সিলভার স্পন্সর সিম্ফনি এবং ডিবিবিএল। প্রদর্শনীর ফোরজি এলটিই পার্টনার বাংলালায়ন। এডিএন টেলিকম, বাংলাদেশ টেকনো সিটি লিমিটেড, ডাহুয়া, ডেল, এইচপি, হিকভিশন, ইউসিসি এক্সপোর পার্টনার। গেমিং পার্টনার গিগাবাইট। ই-কর্মাস পার্টনার প্রিয়শপ ডটকম।
দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর নলেজ পার্টনার। এক্সপোকে সফল করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), সিটিও ফোরাম, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ ওম্যান ইন টেকনোলজি (বিডবিøউআইটি), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।