গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দাবিতে চলমান আন্দোলন তখনই সফল হতে পারে যখন ওই দাবির সাথে কৃষক-শ্রমিকের দাবি ঐক্যবদ্ধ হবে, বলেছেন বাংলাদেশ শ্রম ইনস্টিটিউট (বাশি)-র ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি শাহ্ আতিউল ইসলাম।
শ্রমিকদের দলে উপদলে বিভক্ত রাখার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা [শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ ও এগুলোর নেতারা] সবাই শ্রমিক কৃষকদের মুক্তির কথা বলছি। তার জন্য দরকার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। যদি সত্যিই আমরা কৃষক-শ্রমিকের মুক্তির কথা বলে থাকি, তাহলে আমরা কেন তাদের ঐক্যবদ্ধ না করে বিভিন্ন সংগঠনে বিভিক্ত করে রাখছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবিদাওয়ায় খুব বেশি ভিন্নতা নেই। তাই এ ধরনের বিভক্তি কাম্য নয়।’
বাংলাদেশ শ্রম ইনস্টিটিউট (বাশি)-র প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আতিউল ইসলাম একথা বলেন।
বাশির আয়োজনে ‘কর্মে ও স্মৃতিতে আবদুস সালাম’ শিরনামার আলোচনা অনুষ্ঠানটির তোপখানা রোডের নির্মল সেন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
বাশির নির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক প্রিসিলা রাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে আরো বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট নেসার আহমেদ, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, বাশির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামীম ইমাম, বাশির অন্যতম ট্রাস্টি গোলাম মুর্শেদ প্রমুখ।
আবদুস সালামের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবপ অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট নেসার আহমেদ আবদুস সালামকে শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি সংগ্রামের একজন সফল নেতা অভিহিত করে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল অনবদ্য। বাংলাদেশ গড়ে তোলার ইতিহাসেও তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। আইনজীবী হিসেবে আবদুস সালাম চিরস্মরণীয়।”
অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আইন ও তার অনুসরণে প্রণীত সংবিধান যে বাংলাদেশের সব সমস্যার কেন্দ্রে, তা আবদুস সালাম বুঝতে পেরেছিলেন।
সংবিধান ও আইনকে রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রে নিয়ে আসার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন আবদুস সালাম, বলেন হাসনাত কাইয়ুম।
শবনম হাফিজ বলেন, “শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলার কাজের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন আবদুস সালাম। তিনি শ্রমিকদের সাথে এমনভাবে কাজ করতেন যে, তাতে তাদের মধ্যে দূরত্ব থাকত না।’ বিজ্ঞপ্তি।
শ্রমিক-কৃষকের দাবি যুক্ত না হলে গণতন্ত্রের সংগ্রাম সফল হবে না
previous post