অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা ৫৭৫ কিলোমিটার রেললাইনকেও এবার আধুনিক এই যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মধ্যে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ।দেশে এখন সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের কিছু বেশি রেললাইন আছে, যার মধ্যে তিন দফায় বড় আকারে আড়াই হাজার কিলোমিটার রেললাইনের পাশে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বসানো হয়েছে। আরও বিভিন্ন সময়ে প্রায় সাত’শ কিলোমিটার ফাইবার স্থাপন করা হয়।
সেকেন্ডারি লাইন হিসেবে থাকা রেলওয়ের বাকি ৫৭৫ কিলোমিটারের রুটগুলো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না কখনো। তাই এই রুটগুলোকে এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়নি।এই দফায় সরকার ৬৯ কোটি টাকা খরচ করে এখানে এই ক্যাবল বাসানোর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। যার জন্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যেটি অনুমোদনের জন্যে রোববার একনেকে উঠবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রনালয়েল সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন।
‘অপটিক্যাল ফাইবার টেলিকম অপারেটরদের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমরা ক্যাবল স্থাপন করতে যাচ্ছি। যাতে আমাদের কাজের পাশাপাশি ভাড়া দিয়েও আমরা কিছু আয় করতে পারি,’ বলছিলেন মোফাজ্জেল হোসেন।
বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের লাইসেন্স রয়েছে এবং ক্যাবল ভাড়া দিয়ে তারা বেশ আয়ও করছেন।
এর আগে ১৯৯২ সালে নরওয়ে সরকার তখনকার সময়ে বাংলাদেশের জন্যে অপ্রচলিত এই অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে দেয় রেল বিভাগকে। সেই সময়ে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার ফাইবার স্থাপিত হয়। পরে ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোন উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এই ক্যাবল লিজ পায়। পরবর্তীতে গ্রামীণফোন আরও ৪০৯ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে। চুক্তি অনুসারে এসব অপটিক্যাল ফাইবারের মেরামত এবং সংরক্ষণের দায়িত্বও গ্রামীণফোনের।
পরে রেলওয়ে নিজেরা আরও ৪০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করেছে যা এখন নিলামের জন্যে দরপত্র আহবানের অবস্থায় রয়েছে।
অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা ৫৭৫ কিলোমিটার রেলপথের পাশে এই ক্যাবল স্থাপন করতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগবে বলে প্রকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের অনুমোদনগত প্রক্রিয়া শেষ হলে দরপত্র আবহানের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান সচিব। যার ফলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের শক্তি এবং যোগ্যতা আগের চেয়ে বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
তথ্যসূত্র:টেকশহর