সম্প্রতি প্রবাসীর ট্যাক্সি-র সাথে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে আমি প্রবাসী। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী উভয় পক্ষ প্রবাসীর ট্যাক্সি-র ট্যাক্সি সার্ভিসকে আমি প্রবাসী অ্যাপে সহজলভ্য করে তুলবে। এতে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারী ২০ লক্ষের বেশি অভিবাসী শ্রমিক এই সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন। অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজ করে তোলার জন্য কাজ করছে আমি প্রবাসী।
বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের অভিবাসন যাত্রার শুরু থেকে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিতে সাহায্য করার জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। আগ্রহী অভিবাসীদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করে থাকে, যেমন: বিএমইটি নিবন্ধন, চাকরি খোঁজা, সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করা এবং বিমানবন্দর, অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার, চাকরির পোস্টিং, নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস, নিকটবর্তী ডিইএমও অফিস ইত্যাদি জায়গায় সহায়তা পাওয়া।
আমি প্রবাসী-র হেড অফ প্রোডাক্টস রেদওয়ান উল হক বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমাদের অ্যাপে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আমি প্রবাসী ব্যবহারকারীরা এখন অ্যাপটির মাধ্যমে প্রবাসীর ট্যাক্সি-র সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এটি আমি প্রবাসী, প্রবাসীর ট্যাক্সি ও অন্যান্য অংশীদারদের (যাদের বেশিরভাগ অভিবাসী শ্রমিক) উপকৃত করবে। এখন সেবাটি গ্রহণ করা সহজ হওয়ায় বিপুল সংখ্যক বিদেশফেরত অভিবাসী এর সুবিধা পাবেন।”
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান, নিরাপদ অভিবাসন, ট্যাক্সি সার্ভিস, শাটল সার্ভিস, বিমানের টিকেট ইত্যাদি সেবা প্রদান করে থাকে প্রবাসীর ট্যাক্সি। তারা একটি অনলাইন সিস্টেম এবং একটি হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে শুধু বিমানবন্দর থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী পরিবহনে কাজ করছে। প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকরা ন্যায্য ভাড়ায় বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় ট্যাক্সি বুক করতে পারেন। এই ট্যাক্সি সার্ভিসে কাজ করা চালকরাও দক্ষ বিদেশফেরত অভিবাসী।
প্রবাসীর ট্যাক্সি-র চেয়ারম্যান আল আমিন নয়ন বলেন, “ট্যাক্সি বা গাড়ি ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের হয়রানি এবং অতিরিক্ত খরচের কারণে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছাতে প্রবাসীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়াও, বেকারত্বে ভুগতে থাকা বিদেশফেরত অভিবাসীদের কর্মসংস্থানের আওতায় নিয়ে আসার বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ‘প্রবাসীর ট্যাক্সি’ অন্যতম। এই সমঝোতা সাক্ষরের ফলে অভিবাসীরা ঝামেলামুক্ত যাতায়াতের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম পাবেন।”
আমি প্রবাসী-র প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারকটি সাক্ষরিত হয়। উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে আমি প্রবাসী-র হেড অফ প্রোডাক্টস রেদওয়ান উল হক এবং প্রবাসীর ট্যাক্সি-র চেয়ারম্যান আল আমিন নয়ন স্মারকটি সাক্ষর করেন।
আমি প্রবাসী
এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করে থাকে। দেশের ক্রমবর্ধমান তরুণ জনগোষ্ঠীকে দেশের বাইরে কাজ দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমিপ্রবাসী একটি সাধারণ স্মার্টফোনের মাধ্যমে বাইরে চাকরি খোঁজা থেকে শুরু করে বিদেশে যাওয়া এমনকি বিদেশে থাকাকালীন সহায়তা পাওয়া পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটি অনেক সহজ করে তুলেছে। পাশাপাশি, এটি একটি বুদ্ধিমান সিস্টেম, যা বর্তমানে সুলভ নয় এমন তথ্যও সরকারকে সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে সরকার প্রার্থীর উপস্থিতি, বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ওপর নজর রাখতে পারবে।