চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও আগ্রহীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক রাশাদ কবীর বলেন, বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড বেসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। মহামারি ও লকডাউনের কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও আবেদন করতে পারেননি। তাই তারা অনুরোধ করেছেন যাতে সময় বাড়ানো হয়। তারই প্রেক্ষিতে ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ৩টি, ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে ২টিসহ মোট ৫ টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০০টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এবারে একটি নতুন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে সেটি হলো এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। সরকার ঘোষিত ১০% রপ্তানি ভর্তুকির জন্য যারা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর উপদেষ্টা ও বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, নারীদের ঘরে বসে অনলাইন আউটসোর্সিং-এ উৎসাহিত করতে পৃথক নারী ক্যটাগরিতেও তিনটি অ্যওয়ার্ড দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড আয়োজনে বেসিস এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারের ২০২৩ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি আমরা মনে করি, যারা এখন ব্যক্তি পর্যায়ে আউটসোর্সিং কাজে নিয়োজিত তারা যেন নিকট ভবিষ্যতে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কোম্পানি গঠন করে বেসিস এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে পারে। তাছাড়া সরকার এখন রপ্তানি আয়ের উপর ১০% নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে যা কোম্পানিগুলোই কেবল নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, ব্যাংক এশিয়া ও পেওনিয়ার এর সহযোগিতায় ও বেসিস এর উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ বিচারকম-লী কর্তৃক বিভিন্ন ধাপে যাচাই বাছাই করে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১০০টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। আউটসোর্সিং কোম্পানি ক্যটাগরিতে ১৫টি, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ১০টি, এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স ক্যাটাগরিতে ৮টি, জেলা পর্যায়ে ৬৪টি এবং ব্যক্তি নারী ক্যাটাগরিতে ৩টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।