সরকারি খরচে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার দক্ষ জনশক্তি যায় দক্ষিণ কোরিয়ায়। বৈধ উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় দক্ষ কর্মী পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম হলো সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল। এই ১ অক্টোবর ৪০ জনের একটি টিম দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কিন্তু সব ধরনের কাজের সুযোগ নেই। পাল্পশিল্প, কাগজশিল্প, কাঠশিল্প, প্লাস্টিক শিল্প, মেশিনারিজ, মোল্ডশিল্প, কেমিক্যাল শিল্প, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস শিল্প, পনির ও খাদ্যপণ্য শিল্প, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টশিল্প এবং মেটালশিল্প। এ ছাড়া নির্মাণশিল্প, কৃষি ও পশুপালন শিল্প, মৎস্যশিল্প ও সেবাশিল্প খাতে দক্ষ কর্মী নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া।
আপনি যদি এর যে কোন একটিতে দক্ষ হন এবং যেতে আগ্রহী হন তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা শিখতে হবে এবং আরও কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলে। তবে ২০২০ সালের প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এ বছরের শেষ দিকে কিংবা ২০২০ সালের শুরুর দিকে হতে পারে।
কোরিয়ান ভাষা জানা যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করা প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত সংখ্যক প্রার্থীকে বাছাই করবে কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রেশন ও কোরিয়া যাওয়ার যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় বোয়েসেলের www.boesl.org.bd/EPS-NoticeBoardKorea.aspx এই ওয়েব লিংকে।
তবে কোন ধরনের ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আছে এবং পূর্বে কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করেছিল এমন প্রার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের অযোগ্য।
সমস্ত কার্যক্রমে উত্তীর্ণ হওয়ার পর একজন প্রার্থীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য বিমানভাড়াসহ সব মিলে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা লাগতে পারে।
এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বোয়েসেলের ফেসবুক পেজে (facebook.com/boesl.gov.bd) পাওয়া যাবে।