সরকারের সব ধরনের সেবাকে স্মার্টফোন কেন্দ্রিক করা হবে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাোযাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন, সরকারি সেবার মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা হয়েছে স্মার্টফোনকে। কারণ, অনেকেই বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের জন্য এখনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নির্ভর। কিন্তু সবসময় তা ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। আমরা চাই, সরকারের এসব সেবাকে যেকোন স্থান থেকে মানুষ যেন সহজে ব্যবহার করতে পারেন সেই লক্ষ্য কাজ করা। খুব শিগগির তা করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) টেকশহরডটকম স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম বলা হয়। এখন অন্তত ২৫ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে বলে জানানো হয়।
কিন্তু এর প্রকৃত প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। কারণ, আমাদের দেশে এখনো গ্রে মার্কেটে অনেক হ্যান্ডসেট আসে। সেটা হিসাবে আসে না। গ্রে মার্কেটের এই দৌরাত্ম রুখতে হবে বলে বলেন তিনি। সে জন্য মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর ডেটাবেজেরে কাজ শুরু হচ্ছে জানিয়ে বলেন, চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরের ডেটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা করছে। খুব তাড়াতাড়ি এর জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করা হবে।এছাড়াও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ডাকঘরগুলোকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করা হবে। আর শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।তিনি বলেন, গত বছরে যে পরিমাণ মোবাইল ফোন আমদানি হয়েছে তার ৭৭ শতাংশ স্মার্টফোন। আর সরকারও চাইছে সবার জন্য সরকারি সেবাকে সহজ করতে। তাই অ্যাপসও তৈরি করা হচ্ছে।তিনি বলেন, সরকার আগামী পাঁচ বছরে তরুণদের জন্য যে পরিমাণ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার একটা বড় অংশ হবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে। তাই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে আগামী দিনের জন্য। দক্ষ জনবলও তৈরি করতে তথ্যপ্রযিক্ত বিভাগ কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর ঈগল সং, স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার বমিন কিম, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক, ভিভো বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস্টার অ্যাঙ্গাস, আমরা কোম্পানিজ এবং উই মোবাইলের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহমেদ, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ডিরেক্টর সাকিব আরাফাত।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান এক্সপো মেকারের কৌলশগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।
এবারের মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে হুয়াওয়ে, স্যামসাং ও টেকনো। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ভিভো ও উই। সিলভার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে গোল্ডেনফিল্ড ও মটোরোলা। টাইটেল স্পন্সর দেশের আইসিটি ও টেলিকম বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় নিউজ পোর্টাল টেকশহরডটকম এবং পার্টনার এডুমেকার।
মেলায় থাকছে প্লাটিনাম স্পন্সর প্যাভিলিয়ন তিনটি, গোল্ড স্পন্সর প্যাভিলিয়ন দুটি এবং সিলভার স্পন্সর প্যাভিলিয়ন দুটি। এ ছাড়াও ছয়টি প্যাভিলিয়ন ও চারটি স্টল রয়েছে। মূল্যছাড়ের পাশাপাশি উপহার, গিফট বক্স, র্যাফেল ড্র, সেলফি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রেখেছে ব্র্যান্ডগুলো।
প্রদর্শনীর সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ (https://www.facebook.comSTExpo) এবং দেশের আইসিটি ও টেলিকম বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় নিউজ পোর্টাল টেকশহর ডটকম (techshohor.com)-এ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়াও প্রতিদিনের আপডেট পেতে চোখ রাখুন মেলার ইভেন্ট পেইজে (https://www.facebook.com/STExpo)। পেইজে ইতিমধ্যে কুইজ কনটেস্ট শুরু হয়েছে। এতে বিজয়ীরা পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশ ফি ২০ টাকা। তবে প্রতিবন্ধী এবং শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।