দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের ১১ শতাংশই শিশু (যাদের বয়স ১৮ বছরের কম)। এটি অত্যন্ত মারাত্মক। এখন থেকে সারা দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ না করলে এটি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। এজন্য সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃক আয়োজিত ‘শিশু কিশোরদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট মহোৎসবে’ এ তথ্য জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে ইন্টারনেটের ভাল-মন্দ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ।
সংগঠনটির সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে সেমিনারে জানানো হয়, ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৭৪ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০, ১৩ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪৫ ও ৩ শতাংশের বেশি ভুক্তভোগীর বয়স ৪৬ বছরের বেশি। এসব অপরাধের ধরনের মধ্যে রয়েছে, অনলাইনে অপপ্রচার (সাইবার বুলিং), আইডি হ্যাকিং, অনলাইনে হুমকি, এটিএম কার্ড হ্যাকিং, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকউন্ট হ্যাকিং, অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার ইত্যাদি।
অনলাইনে শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও তাদের ডিজিটাল দুনিয়ার বিপদ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং তাদের নিরাপদ অনলাইন কনটেন্ট ব্যবহারের সুযোগ বাড়াতে খুব সামান্যই কাজ হয়েছে। এ অবস্থায় ইউনিসেফ ও ফেসবুক আজ এক বছরব্যাপী একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করেছে।
দিনব্যাপী আয়োজনে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। আরো ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার, ফেসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রোগ্রাম প্রধান রিতেশ মেহতা।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত ইউনিসেফের তথ্য মতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বড় অংশ ১৮ বছরের নিচে। প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবহার করছে। ৯ লাখের বেশি শিশুর কাছে জরিপের ফরম পৌছানো হয়, কিন্তু এতে অংশ নেয় ১১ হাজার ৮২১ জন, যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮।