‘সাইবার নিরাপত্তা’ বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। অাশার কথা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে সাইবার নিরাপত্তার এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এক সূচকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। তবে বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স ১০০টি দেশের সাইবার নিরাপত্তার মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে এই অবস্থান নির্ণয় করেছে।সাইবার নিরাপত্তা বলতে মুলত বুঝায় কিছু সচেতনতা , কিছু উপায় যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, কম্পিউটার, আমাদের বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসকে – হ্যাকিং ও বিভিন্ন ধরনের আক্রমন থেকে নিরাপদ রাখতে পারি।
এনসিএসআই-এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি ১০০টি দেশের সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। সূচকের শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। তাদের স্কোর ৮৩.১২। একই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় জার্মানি এবং ৮১.৮২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এস্তোনিয়া। সূচকে ২৫.৯৭ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশকে। সূচকে ২৩.৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ৭৭তম অবস্থান শ্রীলঙ্কার। ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯.৪৮, ১২.৯৯ এবং ১২.৯৯ পয়েন্ট নিয়ে সূচকের ৮৩, ৯২ ও ৯৩তম স্থানে রয়েছে।এদিকে তালিকায় সবার নিচে রয়েছে ওশেনিয়া মহাদেশের দেশ কিরিবাতি। সূচকে তাদের স্কোর ১.৩০। আর ২.৬০ পয়েন্ট নিয়ে ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কার।
একদিকে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে শঙ্কা, অন্যদিকে গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনডেক্সে শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ভুটান থেকে অবস্থানগতভাবে এগিয়ে থাকা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশের একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান রিভ অ্যান্টিভাইরাসের জ্যেষ্ঠ বিপণন ব্যবস্থাপক ইবনুল করিম রূপেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনডেক্সে শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ভুটান থেকে এগিয়ে থাকা আমাদের জন্য আনন্দের হলেও এতেই তৃপ্ত হওয়া চলবে না। সূচকে ২৫.৯৭ স্কোর খুব যে বেশি কিছু তা নয়। কয়েকটি দেশ থেকে এগিয়ে থাকলেও মাথায় রাখতে হবে সাইবার সক্ষমতায় আমরা অন্য অনেকের চেয়ে অনেকাংশে পিছিয়ে। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে বাংলাদেশে ফিশিং-এর শিকারের হার প্রতিবছর দিগুণ হারে বাড়ছে। অন্যদিকে এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যথেষ্ট সচেতন নয়। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত মোবাইল ফোনের বেশিরভাগ সংক্রমিত। এসব থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’