অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীন থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে উদ্বেগের পারদ দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে। মানুষের এই উদ্বেগে অনেকটা আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যেখানে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। দেখা মিলছে ফেইক নিউজ, হস্যাত্মক ভিডিও ও ছবি।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অদ্ভুত সব কারণকে দায়ী করার পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হচ্ছে এসব ভুয়া সংবাদে। এমনকি বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক, এমন দাবিও তোলা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন করোনা ভাইরাসের রোগি সনাক্ত হয়েছে। যাদের দুজন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য দিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এ ধরণের ফেইক নিউজ ভাইরাসের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে এ ধরনের প্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শুধু গুজব আতঙ্কই নয়, করোনাকে কেউ কেউ হাস্যাত্মকভাবেও উপস্থাপন করছেন। টিকটক ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে এটি নিয়ে অনেকটা অবহেলাই করছেন তারা। এছাড়া করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কোথাও বলা হচ্ছে, রসুন, লবঙ্গ, আদাজল খেলে করোনাভাইরাস ভালো হয়।
এ নিয়ে অনেকে বিভিন্ন ওষুধের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছেন। যেগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এসব গুজবের কারণে একদিকে মানুষ যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়বে তেমনি ভুল চিকিৎসার দিকে ধাবিত হয়ে আরও বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।