দেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের। কি ফোরজির মাধ্যমে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা আছে? হাজারো মানুষের নষ্টালজিয়া তৈরি করলেও সেপথ খুব সোজান নয়।
অপারেটরটির নতুন স্পেকট্রাম কেনার জন্য নিলামে বসতে পারছে না। বলেই গণমাধ্যমে খবর। কেননা এ জন্য অর্থায়নের সংস্থান করতে পারেনি সিটিসেলের উদ্যোক্তারা। তাই এটি আর চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির লাইসেন্সের জন্য বিবেচিত হবে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন – বিটিআরসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা। অন্য বড় অপারেটরগুলো বর্তমানে থ্রিজি সেবা দেওয়ায় সেগুলো নীতিমালা অনুসারে সরাসরি লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে। শুধু ফোরজির লাইসেন্স ফি’র সাড়ে ১১ কোটি টাকা দিলেই লাইসেন্স পেয়ে যাবে।
অন্যদিকে সিটিসেল যেহেতু থ্রিজিতে নেই, তাই এটিকে নতুন করে স্পেকট্রাম কেনার মাধ্যমে ফোরজি’র লাইসেন্সের শর্ত পূরণ করতে হবে।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সিটিসেল যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবা বন্ধ রাখা অপারেটরটির আবার সচল হওয়ার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
গত সোমবার স্পেকট্রাম নিলামের জামানত জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত অবশ্য লাইসেন্স পাওয়ার প্রতিটি ধাপেই তাদের সরব উপস্থিতি ছিল। বরং বলা যায় স্পেকট্রাম নিলামে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের পাশে সিটিসেলকে পেয়ে বিটিআরসি একটু বাড়তি শক্তি পেয়েছিল।
অন্যদিকে ফোরজির সময় অনেক চেষ্টা করেও বিটিআরসি নতুন কোনো অপারেটরকে আগ্রহী করতে পারেনি। ফলে বড় তিন অপারেটরের পাশাপাশি শুধু টেলিটককেই পাওয়া যাবে ফোরজি অপারেটর হিসেবে।
তবে অপারেটরগুলোর মধ্যে টেলিটক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা নতুন করে কোনো স্পেকট্রাম কিনবে না।
আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি স্পেকট্রাম নিলামের সময় নির্ধারণ করেছে বিটিআরসি। পর দিনই লাইসেন্স ও স্পেকট্রামের চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করবে বিটিআরসি।