“হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি)-এর আইটি বিজনেস সেন্টার এবং ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মাননীয় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং জনাব ইমরান আহমদ এমপি, সভাপতি, ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযু্ক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি: পীর আওলীয়ার সিলেটে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি’র যাত্রা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় গড়ে উঠছে “হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি)- আজ রবিবার (২২ মাঘ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, ০৪ ফেব্রুয়ারি, 201৮ খ্রি.) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযু্ক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব ইমরান আহমদ এমপি কর্তৃক আইটি বিজনেস সেন্টার এবং ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে হাই-টেক শিল্পের বিকাশ, মৌলিক অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স সিটি তথা- হার্ডওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠা করা, আইটি/আইটিইএস শিল্প প্রতিষ্ঠা এবং সংশ্লিষ্ট কার্য পরিচালনার জন্য বিদেশী কোম্পানী আকৃষ্ট করতে সহায়ক পরিবেশ তৈরীর জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে “হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি)-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্প। গত ০৮ মার্চ, ২০১৬ তারিখ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাীর আওলীয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সিলেটে আন্তর্জাতিক মানসম্মত এই হাই-টেক পার্ক (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি)- গড়ে ওঠার পর উক্ত পার্কে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৫০,০০০ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
“হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি)- প্রকল্পটি প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের প্রায় ৩১,০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট আইটি বিজনেস সেন্টার, সিলেট কোম্পনীগঞ্জ প্রধান সড়ক হতে প্রকল্পে প্রবেশের জন্য বিদ্যমান খালের উপর একটি ক্যাবল ব্রিজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গ্যাস লাইন স্থাপন এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণাধীণ আইটি বিজনেস সেন্টারটির নির্মাণ কাজ শেষে আগ্রহী বিভিন্ন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করার হবে। এ ছাড়াও এ ইলেকট্রনিক্স সিটি টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সহায়ক অবকাঠামো উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, গেইট, প্রধান রাস্তা, স্ট্রিট লাইটিং, ইউলিটিস ভবন, গভীর নলকূপ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ড্রেন এবং ৩৩/১১ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের উপাদানগুলো নির্মাণের পরিকল্পনাধীন রয়েছে। জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী “হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি) স্থাপনের গুরত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘শাহাজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিকেল কলেজ, সিলেট এমসি কলেজসহ সিলেটে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের কথা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে বিনিয়োগ বোর্ডের ১২ তম সভায় এই অঞ্চলের জন্য একটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় তিনি গত ২১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখ সিলেট হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সিলেটবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে সিলেটকে একটি প্রযুক্তি নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের একটি ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম, এনডিসি বলেন, ‘আমরা ১৬২.৮৩ একরেরও বেশী জায়গা নিয়ে হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি) গড়ে তুলছি। অচিরেই আরো প্রায় ৬৪০ একর জমি এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আমি আশা করছি এখানে ৫০ হাজারেরও বেশী তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। আমরা আইটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব ব্যারিস্টার মোঃ গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া জানান যে, ‘এই প্রকল্পটি সরকারের অগ্রাধীকার প্রকল্প হওয়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে এটির বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ করে এটির সকল কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’