ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা লেনদেনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কোনটা করা উচিত এবং কোনটি অনুচিত সেই ধারণা থাকা উচিত। আসুন এ সম্পর্কে জেনে নেই।
১. অজানা এবং অবিশ্বস্ত পালবিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ফোন কানেক্ট করবেন না। পাবলিক ওয়াইফাই এর মতো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে সেটি ডিভাইসের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং সাইবার অ্যাটাকের সম্ভাবনাও থেকে যায় ৷
ডিভাইস যদি আনট্র্যাস্টেড নেটওয়ার্কে কানেক্ট করে কোথাও লগইন বা ট্রানজেকশন করা হয় তাহলে হ্যাকারদের সেইসব তথ্য চুরি করার একটা প্রবণতা থাকে। জানিয়ে রাখি, এই প্রক্রিয়ায় হ্যাকাররা সুচাতুর ভাবে ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক বা ম্যালওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশানের মাধ্যমে আপনার গুরুত্বপূর্ন ক্রেডেনশিয়াল হাতিয়ে নিতে পারে।
২. ফোনের ডেটা রেগুলার ব্যাকআপ করে রাখা উচিত। যদি ফোন হারিয়েও যায়, তাহলেও ইমেইল সহ লগইন করলে সেগুলি রিকভার করা যাবে।
৩. স্মার্টফোনের পনেরো ডিজিটের International Mobile Equipment Identity বা IMEI নম্বরটি মনে রাখতে হবে। জানিয়ে রাখি, IMEI নম্বরটি প্রত্যেক ফোনের জন্য আলাদা হয় এবং এটি প্রত্যেক ডিভাইসকে একটি ইউনিক আইডেন্টিটি প্রদান করে। এটি ফোনের বক্সেও উল্লেখ করা থাকে। আবার ফোন থেকে *#০৬# ডায়াল করলেও এটি জানা যাবে।
৪. সবসময় স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন। ফোনে পিন, পাসকোড, প্যাটার্ন বা বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন অন করে রাখুন। ফলে ফোনের আনঅথোরাইজড অ্যাকসেস বন্ধ হবে।
৪. অ্যান্টি ভাইরাসের মাধ্যমে কোনো ডেটা স্ক্যান করে তবেই কম্পিউটার থেকে ফোনে সেটি ট্র্যান্সফার করুন। অনেক ক্ষেত্রেই ইনফেক্টেড বা কোরাপ্টেড ফাইল স্মার্টফোনের মধ্যে ঢুকে ফোনের নিরাপত্তাকে নষ্ট করতে পারে।
৫. ফোনের অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট করে রাখুন। অপারেটিং সিস্টেমের প্রত্যেকটি আপডেটের মাধ্যমে আসে লেটেস্ট সিকিরিউটি প্যাচ, ফলে আপডেট ইনস্টল করলে এটি ম্যালওয়্যার থেকে ফোনকে রক্ষা করবে।
৬. ফোনে ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য সেন্সিটিভ ইনফরমেশান লিখে রাখবেন না। আমাদের অনেকেরই মনে রাখার সুবিধার্থ ফোনে পাসওয়ার্ড ও এটিএম পিন লিখে রাখি। যদি এরকম কেউ করে থাকেন তাহলে অ্যাপ লক ফিচারটি ব্যবহার করে সেগুলিকে সুরক্ষিত রাখুন।