সাশ্রয়ী দামে সর্বাধুনিক ফিচারের দারুণ সব স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মোবাইল বিভাগ। ফলে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়।
এবার দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ছাড়লো দুর্দান্ত ফিচারের নতুন একটি স্মার্টফোন। স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরসমৃদ্ধ ফোনটিকে বলা হচ্ছে ‘দ্যা গেমিং ওয়ারিয়র’। সময়ের বাজেটসেরা এই ফোনটির মডেল ‘প্রিমো এসএইট মিনি’।
ওয়ালটন মোবাইলের চিফ বিজনেস অফিসার এস এম রেজওয়ান আলম জানান, ঈদের আগে ‘প্রিমো এসএইট মিনি’ স্মার্টফোনটির প্রি-বুক নেয়া হয়েছিল। এতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। এখন দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইল ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটন গ্রুপের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা (eplaza.waltonbd.com) এবং ওয়ালকার্ট (walcart.com) থেকে ফোনটি কেনা যাচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমানে ‘প্রিমো এসএইট মিনি’ ৪ জিবি ও ৬ জিবি র্যামের দুটি ভার্সনে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ৪ জিবি র্যামের ভার্সনটির দাম ১৩,৯৯৯ টাকা। আর ৬ জিবি র্যামের ভার্সনটির দাম ১৫,৬৯৯ টাকা। নগদ মূল্যের পাশাপাশি সহজ কিস্তি এবং ইএমআই সুবিধায় ফোনটি কেনার সুযোগ রয়েছে।
ওয়ালটন মোবাইলের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন জানান, ‘প্রিমো এসএইট মিনি’ ফোনটি স্টোন হোয়াইট, ইঙ্ক ব্ল্যাক এবং ফরেস্ট গ্রিন রঙে বাজারে এসেছে। এতে রয়েছে ১৯.৫:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর ৬.৫৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস এলটিপিএস ডিসপ্লে।
ইনসেল ল্যামিনেশন প্রযুক্তির পর্দার রেজ্যুলেশন ২৪৬০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। ভিস্মার্ট যুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ১১ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ২.০ গিগাহার্জ গতির শক্তিশালী কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫ অক্টাকোর প্রসেসর।
গ্রাফিক্স হিসেবে আছে কোয়ালকম অ্যান্ড্রেনো ৬১০। এরসঙ্গে রয়েছে ৪ অথবা ৬ গিগাবাইট এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম এবং ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারন্যাল স্টোরেজ, যাতে ইউএফএস মেমোরি ব্যবহার করা হয়েছে।
এতে করে দ্রুতগতির ডাটা ট্রান্সফার সুবিধার সঙ্গে ব্যবহারকারী দারুণ পারফরমেন্স পাবেন। ফোনটিতে ২৫৬ গিগাবাইট মাইক্রো এসডি কার্ড সাপোর্ট সুবিধা রয়েছে। ফলে অনেক বেশি ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
‘প্রিমো এসএইট মিনি’ স্মার্টফোনটির অন্যতম বিশেষ ফিচার এর ক্যামেরা। ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ১.৮ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ এআই কোয়াড (চার) ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রধান সেন্সরটি ১৬ মেগাপিক্সেলের। পাশাপাশি রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর। ফলে এই ফোনে ছবি হবে ঝকঝকে ও নিখুঁত।
আকর্ষণীয় সেলফির জন্য ফোনটির সামনে রয়েছে ২.০ অ্যাপারচারের পিডিএএফ প্রযুক্তির ১৩ মেগাপিক্সেল পাঞ্চহোল কাট আউট ক্যামেরা। উভয় ক্যামেরায় ফোরকে রেজ্যুলেশনের ভিডিও ধারণ করা যায়, যা বর্তমানে এই বাজেটের আর কোনো ফোনে নেই।
ক্যামেরার বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে পিডিএএফসহ অটোফোকাস, এআই মোড, নরমাল মোড, প্রোফেশনাল মোড, ৫পি লেন্স, পোরট্রেইট, এইটএক্স ডিজিটাল জুম, বিএসআই, এইচডিআর, ফেস ডিটেকশন, সেলফ টাইমার, টাচ ফোকাস, টাচ ক্যাপচার, ফিংগারপ্রিন্ট ক্যাপচার, ভলিউম ক্যাপচার, মিরর রিফ্লেকশন, স্লো মোশন, ফাস্ট মোশন, টাইম-ল্যাপস, প্যানোরামা, ফিল্টার, নাইট, বিউটি মোড, কিউআর কোড, ম্যাক্রো লেন্স, বিউটি ভিডিও ইত্যাদি।
দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ফোনটিতে রয়েছে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংসহ ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-পলিমার ব্যাটারি।
এর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফেস আনলক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফুল এইচডি ভিডিও প্লেব্যাক, ফোরকে ইউটিউব স্ক্যালিং, ডার্ক থিম, কুইকচার্জ ৩.০, প্রেয়ার টাইমস, হোম লেআউট, নয়েজ ক্যানসেলেশন, জেসচার নেভিগেশন, থ্রি ইন ওয়ান ডুয়াল ফোরজি সিম সাপোর্ট, ওটিএ, ওটিজি, অটো কল রেকর্ড ইত্যাদি।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এই স্মার্টফোনে ৩০ দিনের বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাসহ এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।